সাঁতরাগাছি ঝিলের দূষণ কী ভাবে আটকানো যাবে, সে ব্যাপারে হাওড়া পুরসভার কাছে বিস্তারিত প্রকল্প-রিপোর্ট তলব করল জাতীয় পরিবেশ আদালত। সোমবার সাঁতরাগাছি ঝিলের দূষণ সংক্রান্ত মামলায় পরিবেশ আদালতের বিচারপতি এস পি ওয়াংদি এবং বিশেষজ্ঞ-সদস্য পি সি মিশ্রের ডিভিশন বেঞ্চ জানিয়েছে, ওই ঝিল থেকে কচুরিপানা তুলে ফেলতে হবে। এ ব্যাপারে কী ব্যবস্থা করা যায়, তা নিয়ে বন দফতর এবং অন্য বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে আলোচনা করতেও নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এই মামলায় রেল কতটা খরচ বহন করবে, তা-ও জানতে চেয়েছিল আদালত। কিন্তু রেল কোনও জবাব না দেওয়ায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছে
ডিভিশন বেঞ্চ।
সাঁতরাগাছি ঝিল শীতকালে পরিযায়ী পাখিদের আস্তানা। এমন ঝিলের জলে দূষণের মাত্রা বেড়ে যাওয়ায় পাখিরা সমস্যায় পড়ছিল। গত ডিসেম্বর এবং চলতি বছরের জানুয়ারিতে ঝিলের জলে একাধিক পরিযায়ী পাখির মৃতদেহ ভাসতেও দেখা গিয়েছিল। তার পরেই ঝিলের দূষণ রুখতে জাতীয় পরিবেশ আদালতে মামলা করেন পরিবেশকর্মী সুভাষ দত্ত। সেই মামলায় উঠে এসেছিল, হাওড়া পুরসভা ঝিলের জলে কঠিন বর্জ্য এবং দূষিত নিকাশি ফেলছে। তার ফলেই বাড়ছে দূষণ। হাওড়া পুরসভাকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল, কঠিন বর্জ্য তুলে ফেলতে হবে এবং ঝিলে এসে পড়া নিকাশি নালার মুখ বন্ধ করতে হবে। বর্জ্য তোলা হলেও নিকাশি নালার মুখ বন্ধ করতে পারেনি পুরসভা। এ দিন পুরসভার আইনজীবী জানান, এ ব্যাপারে ম্যাকিনটশ বার্ন সংস্থার দ্বারস্থ হয়েছেন তাঁরা। ওই সংস্থাকেও মামলায় যুক্ত করতে বলেছে আদালত।