সওয়াল করে চমক ধৃতদের

কর্মবিরতির কারণে গোল্ডেন পার্ক হোটেলের অগ্নিকাণ্ড সংক্রান্ত মামলার শুনানিতে অভিযুক্তদের হয়ে হাজির হননি কোনও আইনজীবী। শুক্রবার তাই নিজেরাই সওয়ালের দায়িত্ব কাঁধে তুলে নেন অভিযুক্তেরা।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ০১ এপ্রিল ২০১৭ ০২:১৮
Share:

এই হোটেলেই লাগে আগুন।

কর্মবিরতির কারণে গোল্ডেন পার্ক হোটেলের অগ্নিকাণ্ড সংক্রান্ত মামলার শুনানিতে অভিযুক্তদের হয়ে হাজির হননি কোনও আইনজীবী। শুক্রবার তাই নিজেরাই সওয়ালের দায়িত্ব কাঁধে তুলে নেন অভিযুক্তেরা। এমনকী, এক অভিযুক্তের হয়ে সওয়াল করলেন তাঁর বিদেশিনি স্ত্রী-ও! শুনানির শেষে পুলিশের হেফাজতে নেওয়ার আর্জি খারিজ করে দেন বিচারক। অভিযুক্তেরা জামিনও পাননি। তাঁদের ৪ এপ্রিল পর্যন্ত বিচারবিভাগীয় হেফাজতে রাখা হবে।

Advertisement

তদন্তের স্বার্থ দেখিয়ে পুলিশ ধৃতদের নিজেদের হেফাজতে নেওয়ার আর্জি জানায়। কিন্তু এ দিন দুই অভিযুক্ত, হোটেলের মালিক ভূপিন্দর সিংহ গুজরাল এবং গৌতম মজুমদার নামে এক ম্যানেজার যে ভাবে জোরালো সওয়াল করে পুলিশি হেফাজতের বিরোধিতা করেছেন, তাতে তাজ্জব অনেক আইনজীবীই।

তবে এ দিন চমকে দেন গৌতমের আর্মেনীয় স্ত্রী আরপিন হারুতিনয়ান। সূত্রের খবর, পরিচিত এক কৌঁসুলির সঙ্গে যোগাযোগ করেন আরপিন। এ দিন দুপুরে মা ও শিশুপুত্রকে নিয়ে আসেন আদালতে। আরপিন আদালতে জানান, তাঁর স্বামী অসুস্থ। তাই তিনি মাস দুয়েক আগে এ দেশে এসেছেন। গৌতমকে জেলে পাঠানো হলে তাঁর স্বাস্থ্যের ক্ষতি হতে পারে। বিচারক সত্যঅর্ণব ঘোষাল আরপিনকে আশ্বাস দেন, জেলে যাবতীয় চিকিৎসার ব্যবস্থা রয়েছে।

Advertisement

আরও পড়ুন: বাইক উল্টে সঙ্কটজনক সৌমিত্রের দৌহিত্র

ভূপিন্দর ও গৌতমের বিরুদ্ধে দমকল আইন অমান্যের পাশাপাশি অনিচ্ছাকৃত ভাবে মৃত্যু ঘটানো এবং মৃত্যু ঘটানোর চেষ্টার মামলাও রুজু হয়েছে। কিন্তু ব্যাঙ্কশাল আদালতের মুখ্য মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট সত্যঅর্ণব ঘোষালের পর্যবেক্ষণ, এই মামলায় পুলিশের ধারা প্রয়োগ নিয়ে বিতর্কের অবকাশ রয়েছে।

সরকারি কৌঁসুলি পীযূষকান্তি মণ্ডল যুক্তি দেন, দমকলের লাইসেন্স ছিল কি না, হোটেল কর্তৃপক্ষের গাফিলতি ছিল কি না— এ সব দেখার জন্য দু’জনকে হেফাজতে নেওয়া প্রয়োজন। সেই যুক্তি মানেননি বিচারক।

ভূপিন্দর আদালতকে জানান, হোটেলের অগ্নি-সুরক্ষা, রক্ষণাবেক্ষণ তিনি দেখেন না। তাঁর কর্মীরা দেখেন। ফলে তিনি সরাসরি অভিযুক্ত হতে পারেন না। ভূপিন্দরের মন্তব্য, ‘‘গাড়িচালক কাউকে ধাক্কা দিলে তার দায় কি গাড়ির মালিকের উপরে বর্তায়?’’ তিনি এ-ও জানান, ২৮ ও ২৯ মার্চ হোটেলের সুরক্ষা একটি বেসরকারি এজেন্সিকে দিয়ে খতিয়ে দেখা হয়েছিল। গৌতম জানান, তিনি হোটেলের ‘পাব’ ম্যানেজার। ঘটনার পরে তিনি মালিকের সঙ্গী হিসেবে থানায় গিয়েছিলেন। সেখানেই পুলিশ আচমকা তাঁকে গ্রেফতার করে। হোটেলের সিসিটিভি দেখলেই তাঁর ভূমিকা স্পষ্ট হবে বলে গৌতমের দাবি।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন