গোলমাল ঠেকান কড়া হাতে, নির্দেশ সিপি-র

পুলিশের একাংশের মতে, এই পরিস্থিতিতে দ্রুত লাগাম না টানলে যে কোনও সময়ে গোলমাল বড় আকার ধারণ করতে পারে। সে কথাই এ দিন কার্যত বুঝিয়ে দিয়েছেন সিপি।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ০৪ জুন ২০১৯ ০২:২৭
Share:

কোনও সংঘর্ষ বাধলে তার মোকাবিলা করতে হবে আইন-শৃঙ্খলার দায়িত্বে থাকা পুলিশকেই মনে করিয়ে দিয়েছেন কমিশনার।—ফাইল চিত্র।

ভোট মিটতেই শহরের নানা প্রান্ত থেকে বিক্ষিপ্ত গোলমালের খবর পাওয়া যাচ্ছে। যার বেশির ভাগই রাজনৈতিক। এই পরিস্থিতিতে ইদের সময়ে শহরের শান্তিশৃঙ্খলা বজায় রাখতে বাহিনীর কর্তাদের কড়া হতে নির্দেশ দিলেন কলকাতার পুলিশ কমিশনার অনুজ শর্মা। সোমবার ইদের প্রস্তুতি বৈঠক ছিল লালবাজারে। পুলিশের খবর, সেই বৈঠকের ফাঁকেই ওই নির্দেশ দেন পুলিশ কমিশনার।

Advertisement

ঘটনাচক্রে, রবিবার বেলেঘাটা, সিঁথি ও আনন্দপুরে এমন গোলমালের খবর মিলেছে। তবে কোনও জায়গাতেই তা বড় আকার নেয়নি। কিন্তু পুলিশের একাংশের মতে, এই পরিস্থিতিতে দ্রুত লাগাম না টানলে যে কোনও সময়ে গোলমাল বড় আকার ধারণ করতে পারে। সে কথাই এ দিন কার্যত বুঝিয়ে দিয়েছেন সিপি।

লালবাজার সূত্রের খবর, শহরে রাজনৈতিক বা অন্য যে কোনও সংঘর্ষ বাধলে তার মোকাবিলা করতে হবে আইন-শৃঙ্খলার দায়িত্বে থাকা পুলিশকেই। বাহিনীকে সেই কথা এ দিন মনে করিয়ে দিয়েছেন কমিশনার। তিনি জানিয়ে দিয়েছেন, যে কোনও ধরনের গোলমাল সমান গুরুত্ব দিয়ে মোকাবিলা করতে। পুলিশ কমিশনার এ দিনের বৈঠকে ট্র্যাফিক কর্তাদেরও নির্দেশ দিয়েছেন, রাস্তায় যে কোনও জমায়েত দেখে সন্দেহ হলে সঙ্গে সঙ্গে তা সংশ্লিষ্ট থানাকে জানাতে।

Advertisement

বস্তুত, ভোটের আগে থেকেই শহরে রাজনৈতিক গোলমালের আশঙ্কা ছিল। ভোটের ফল রাজনৈতিক ক্ষেত্রে নতুন সমীকরণ তৈরি করেছে। ভোটের সময়ে কেন্দ্রীয় বাহিনী থাকলেও এখন আইনশৃঙ্খলা পুরো পুলিশের হাতে। পুলিশের একাংশের মতে, যে কোনও গোলমালে দ্রুত পদক্ষেপ করার কথা বলে সিপি কার্যত রাজনৈতিক রং বিচার না-করে আইনমাফিক ব্যবস্থা নেওয়ার ‘উপদেশ’ দিয়েছেন। এর আগে রাজ্যের পুলিশের বিরুদ্ধে পক্ষপাতিত্বের যে অভিযোগ উঠেছে, এই ‘সক্রিয়’ ভূমিকায় তা-ও খণ্ডন করা সম্ভব বলে মনে করছেন প্রবীণ পুলিশ অফিসারদের অনেকে।

ঘটনাচক্রে, ভোটের আগে রাজীব কুমারকে সরিয়ে অনুজকে সিপি পদে নিয়োগ করেছিল রাজ্য। কিন্তু নির্বাচন কমিশন তাঁকে সরিয়ে রাজেশ কুমারকে সেই পদে আনে। নির্বাচন মিটতে না-মিটতেই রাজেশকে সরিয়ে অনুজকে পুনর্বহাল করেছে নবান্ন।

বুধবারের ইদে শহর যাতে নিরাপদ থাকে, তা-ও নিশ্চিত করতে বলেছেন পুলিশ কমিশনার। লালবাজারের এক কর্তা জানান, ইদের দিন শহরের রাস্তায় ২২ জন ডিসি পদমর্যাদার পুলিশ অফিসার থাকবেন। তাঁদের সঙ্গে থাকবেন যুগ্ম কমিশনারেরাও। রেড রোডের দায়িত্বে থাকবেন তিন জন ডেপুটি কমিশনার এবং এক জন যুগ্ম কমিশনার। ওই রাস্তায় থাকবে কুইক রেসপন্স টিম-ও। এ ছাড়া, শহর জুড়ে ঘুরবে ছ’টি কুইক রেসপন্স টিম।

শহরের বিভিন্ন পার্ক, শপিং মল-সহ যে সব জায়গায় লোকসমাগম বেশি হবে, সেখানেই অতিরিক্ত বাহিনী মোতায়েনের কথা বলা হয়েছে ইদ সংক্রান্ত এ দিনের বৈঠকে। ওই দিন সকাল থেকে কলকাতা পুলিশের ২৫টি মোবাইল-ভ্যান শহর জুড়ে নজরদারি চালাবে। ছোট-বড় মিলিয়ে শহরের ৬২৬টি মসজিদেই নমাজ পড়া হবে।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement
Advertisement