বিকেল থেকে চলতে থাকা ঝড়বৃষ্টি তত ক্ষণে থেমে গিয়েছে। প্রায় স্বাভাবিক সেই আবহাওয়ায় কলকাতা থেকে উড়ে যাওয়ার কিছু ক্ষণের মধ্যেই চিড় ধরল একটি বিমানের কাচে। রবিবার সন্ধ্যার ওই উড়ান ভুবনেশ্বরের কাছাকাছি পৌঁছেও ফিরে এসে জরুরি অবতরণ করল কলকাতায়।
এয়ার ট্রাফিক কন্ট্রোল (এটিসি) সূত্রের খবর, রবিবার সন্ধ্যা পৌনে ৭টার পরে জেট লাইটের এস২-৪৩৬৪ উড়ানটি বেঙ্গালুরুর পথে রওনা হয়। যাত্রী ছিলেন কমবেশি ১৮০ জন। মিনিট ২০ কুড়ি ওড়ার পরে ভুবনেশ্বরের কাছাকাছি গিয়ে পাইলট এটিসি-কে জানান, বিমানের কাচে চিড় ধরে গিয়েছে। তিনি আর এগোতে চাইছেন না। বিমানের মুখ ঘুরিয়ে কলকাতায় ফিরে আসছেন। জরুরি অবতরণের ব্যবস্থা করা হয় তড়িঘড়ি। সন্ধ্যা সাড়ে ৭টা নাগাদ বিমানটি ফের কলকাতায় নামে।
হঠাৎ এই বিপত্তি কেন? এটিসি সূত্রে জানা গিয়েছে, আচমকা দমকা হাওয়া আছড়ে পড়ায় বিমানের কাচের উপরে প্রচণ্ড চাপ তৈরি হয়। ফলে কাচে চিড় ধরে যায়। এ ক্ষেত্রে তেমনটাই হয়েছে বলে অনুমান। এ দিনের ঝড়বৃষ্টির সঙ্গে এই বিপত্তির সম্পর্ক নেই বলেই মনে করা হচ্ছে।
তবে ছুটির দিনের ঝড়বৃষ্টিতে কলকাতায় বিমান চলাচল কিছুটা ব্যাহত হয়েছে। জেলার মতো কালবৈশাখীর দেখা না-মিললেও বিকেল থেকে মহানগরীর বিভিন্ন এলাকায় ঝড়বৃষ্টি হয়। এটিসি জানাচ্ছে, বিকেল থেকে বিমানবন্দর সংলগ্ন এলাকার আবহাওয়া খারাপ হতে থাকে। ঝড়বৃষ্টি ও ঘনঘন বাজ পড়ায় ১৫ মিনিটেরও বেশি সময়ের জন্য বিমান ওঠা-নামা বন্ধ রাখতে হয়। ফলে সমস্যায় পড়ে পরের উড়ানগুলিও। কলকাতায় নামার উপায় না-থাকায় আকাশে চক্কর কাটার নির্দেশ দেওয়া হয় কয়েকটি বিমানকে। তাদের মধ্যে ছিল আগরতলা থেকে আসা ইন্ডিগোর একটি উড়ানও। জ্বালানি কম থাকায় সেটি ভুবনেশ্বর চলে যায়। দুর্যোগ থেমে যাওয়ার পরেও প্রতিটি উড়ান প্রায় ১৫ মিনিট দেরিতে চলেছে।