প্রধান শিক্ষক নিয়োগের লিখিত পরীক্ষায় পাশ করেছেন তাঁরা। গত সোমবার থেকে নথি যাচাই শুরু হয়ে গিয়েছে। কিন্তু ওই প্রক্রিয়ায় অংশ নিতে গিয়েই বিপাকে পড়েছেন প্রধান শিক্ষক পদপ্রার্থী, স্কুলের সাধারণ শিক্ষকেরা। কারণ ওই প্রক্রিয়ায় অংশ নিতে হলে সংশ্লিষ্ট স্কুল কর্তৃপক্ষের তরফ থেকে ‘নো-অবজেকশন’ শংসাপত্র জরুরি। অভিযোগ, রাজ্যের বহু স্কুলেই শিক্ষকদের ওই শংসাপত্র দিচ্ছেন না বা দিতে গড়িমসি করছেন স্কুল কর্তৃপক্ষ।
তবে ভূরি ভূরি অভিযোগ পেয়ে অবশেষে নড়েচড়ে বসেছে দক্ষিণ ২৪ পরগনার জেলা স্কুলশিক্ষা দফতর। গত মঙ্গলবার সমস্ত স্কুল কর্তৃপক্ষকে কড়া চিঠি পাঠিয়ে বলা হয়েছে, অযথা ‘নো-অবজেকশন’ দিতে দেরি করলে বা না দিলে স্কুল কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ করা হবে।
কিন্তু ‘নো-অবজেকশন’ দিতে স্কুল কর্তৃপক্ষের অসুবিধা কোথায়, সেই প্রশ্ন উঠছে। শিক্ষকদের একাংশ এর পিছনে ব্যক্তিগত আক্রোশকেই দায়ী করছেন। এক শিক্ষক জানান, নানা কারণে স্কুলের প্রধান শিক্ষক ও পরিচালন সমিতির সঙ্গে সাধারণ শিক্ষকদের গোলমাল হয়। তাঁদের অসুবিধায় ফেলতেই ‘নো-অবজেকশন’ আটকে রাখা হচ্ছে। ‘‘স্কুল এবং শিক্ষকের মধ্যের বিষয়ে দফতরের হস্তক্ষেপ কাম্য নয়। কিন্তু স্কুল কর্তৃপক্ষ অনুচিত কাজ করলে দফতরের দ্বারস্থ হওয়া ছাড়া উপায় ছিল না,’’ বলেন এক শিক্ষিকা। শিক্ষক-নেতা স্বপন মণ্ডলের মত, ‘‘শুধু কড়া চিঠিই নয়, অভিযুক্তদের কড়া শাস্তি দেওয়া উচিত।’’ স্কুলশিক্ষা দফতরের এক কর্তা বলেন, ‘‘এ ভাবে চলতে থাকলে প্রধান শিক্ষক নিয়োগের প্রক্রিয়াই ব্যাহত হবে। সব স্কুলকে এটা বুঝতে হবে। না হলে শক্ত হাতে হাল ধরা ছাড়া উপায় নেই।’’