বিপত্তি: ঝড়ের আগেই ভেঙে পড়ল গাছ। শুক্রবার, সল্টলেকের এসি ব্লকে। নিজস্ব চিত্র
ঘূর্ণিঝড়ের সময়ে বিপর্যয় ঠেকাতে বিপজ্জনক ভাবে ঝুলে পড়া গাছ কেটে ফেলল বিধাননগর পুরসভা। কর্তৃপক্ষের দাবি, ওই সব গাছ উপড়ে পড়ার মতো অবস্থায় ছিল। ঝড়ে সহজেই পড়ে যাওয়ার আশঙ্কা থাকায় বিপদ এড়াতে বৃহস্পতিবার রাত থেকেই সেগুলি কাটার কাজ শুরু করে দেয় পুরসভা। একই সঙ্গে ফণীর মোকাবিলায় শহরের ফ্লেক্স, হোর্ডিং খুলে ফেলা হয়েছে।
সল্টলেকের বাসিন্দারা অবশ্য জানান, শুক্রবার সকালেই দমকা হাওয়ায় বেশ কিছু গাছ পড়ে যায়। শুক্রবার দুপুরে বিধাননগর পুরভবনে জরুরি বৈঠকের পরে মেয়র সব্যসাচী দত্ত জানান, তিনি ও অন্য পারিষদেরা আপৎকালীন পরিস্থিতিতে পুরভবনে থেকে বিপর্যয় মোকাবিলার কাজ পরিচালনা করবেন। শুক্রবার রাত থেকে শনিবার পর্যন্ত পুরসভাতেই থাকবেন বলে জানিয়েছেন সব্যসাচী। বরোর চেয়ারম্যানদেরও নির্দেশ দেওয়া হয়েছে থাকার জন্য। আধিকারিকেরা জানান, রাজারহাট ও সল্টলেকের জন্য আলাদা অ্যাম্বুল্যান্স ও জলের ব্যবস্থা করা হচ্ছে। প্রয়োজনে বাসিন্দাদের স্কুল, ক্লাবে রাখার ব্যবস্থাও হচ্ছে।
এ দিন নিউ টাউনে দেখা যায় হোর্ডিং খোলার কাজ চলছে। নামিয়ে আনা হচ্ছে হাইমাস্ট লাইট। ঝড়ের হাত থেকে বাঁচাতে সরকারি গাড়িগুলিকে বিশ্ববাংলা কনভেনশন সেন্টারের বেসমেন্টে রাখার ব্যবস্থা হয়েছে। সকালে সল্টলেক, পাঁচ নম্বর সেক্টর কিংবা নিউ টাউনের অফিসপাড়ায় লোকজনের জমায়েত অন্য দিনের তুলনায় কম ছিল। সকাল থেকে ওই সব জায়গায় রাস্তার দোকানের ব্যবসায়ীদের নিরাপদ স্থানে যাওয়ার আবেদন করা হয়েছে। তবে এ দিন বিকেল পর্যন্ত দোকানদারেরা ব্যবসা করেছেন। এ সবের পাশাপাশি সল্টলেক ও নিউ টাউনে দু’টি আলাদা বিপর্যয় মোকাবিলার দল তৈরি রাখা হচ্ছে। বিধাননগর পুরসভাও এনকেডিএ এবং হিডকোর সঙ্গে যোগাযোগ রাখছেন। ট্র্যাফিকেরও আলাদা ব্যবস্থা করা হচ্ছে।