কালীপুজোয় চালু হলো না স্কাইওয়াক

পোস্তা উড়ালপুল শেষ করার সময়সীমা বেঁধে দিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

Advertisement

শান্তনু ঘোষ

শেষ আপডেট: ১৯ অক্টোবর ২০১৭ ০২:২২
Share:

ফাইল চিত্র।

মুখ্যমন্ত্রীর ইচ্ছা ছিল কালীপুজোতেই চালু হোক স্কাইওয়াক। কিন্তু হলো না!

Advertisement

কেন? পুরমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিমের কথায়, ‘‘সমস্ত লোহা গবেষণাগারে পরীক্ষা করে ছাড়পত্র পেতে সময় লাগছে। সঙ্গে প্রাকৃতিক দুর্যোগ।’’ তবে কল্পতরু অনুষ্ঠানের সময়ে স্কাইওয়াক চালু হয়ে যাবে বলে দাবি মন্ত্রীর।

পোস্তা উড়ালপুল শেষ করার সময়সীমা বেঁধে দিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। উড়ালপুলটি ভেঙে পড়ার পরে অভিযোগ উঠেছিল, সময়সীমার মধ্যে তড়িঘড়ি কাজ করতে গিয়েই বিপত্তি। তাই অনেকের ধারণা, তা থেকে শিক্ষা নিয়েই স্কাইওয়াকের ক্ষেত্রে তাড়াহুড়ো করতে চায় না সরকার।

Advertisement

পুরমন্ত্রী বলেন, ‘‘লোহার কাঠামোর কাজ করছে রাইটস। ঝালাইয়ের কাজও পরীক্ষা করে তবেই ছাড়পত্র দেওয়া হচ্ছে। সব মিলিয়ে সুরক্ষা নিয়ে খামতি রাখা হচ্ছে না। তার জন্যই দেরি।’’ দক্ষিণেশ্বর স্টেশনের সামনে থেকে সিংহদুয়ার পর্যন্ত রানি রাসমণি রোডে ওই স্কাইওয়াক তৈরি হচ্ছে। অন্য দিন কাজের জন্য রাস্তাটি বন্ধ থাকলেও কালীপুজোর দিন ভোর থেকে খুলে যাচ্ছে ওই রাস্তা। হেঁটে যাওয়ার পাশাপাশি গাড়িও ধীর গতিতে ওই রাস্তা দিয়ে মন্দিরে ঢুকতে পারবে। তবে বেরোনোর সময়ে ঠাকুর পরমহংস রোড ধরে সেনা ক্যাম্পাসের রাস্তা দিয়ে গাড়িগুলিকে আসতে হবে।

গোটা রাস্তাতেই থাকবে বিশেষ নজরদারি। আঁটোসাঁটো নিরাপত্তা বলয়ে মুড়ে ফেলা হচ্ছে দক্ষিণেশ্বর কালী মন্দির চত্বর। গোয়েন্দা বাহিনীর পাশাপাশি সাহায্য নেওয়া হচ্ছে ভারতীয় সেনাবাহিনীরও। ওয়াচ টাওয়ার থেকে শুরু করে সিসিটিভিতে মুড়ে ফেলা হয়েছে মন্দির চত্বর। মন্দিরের চার পাশের ছাদে স্বয়ংক্রিয় রাইফেল নিয়ে থাকবে পুলিশবাহিনী। থাকছে ডগ স্কোয়াড, বম্ব স্কোয়াডও। পাহারায় থাকবেন মন্দিরের নিজস্ব ৫০ জন নিরাপত্তারক্ষীও।

এ বছর দক্ষিণেশ্বর মন্দিরের পুজোর ১৬৩তম বর্ষ। অন্য বছরের মতো এ বারও কালীপুজোর ভোর থেকে পর দিন পর্যন্ত রাজ্য পুলিশ ও বন্দর কর্তৃপক্ষের সহযোগিতায় কড়া নজরদারি চলবে গঙ্গার প্রতিটি ঘাটে। বিশেষ নিরাপত্তা বলয় থাকবে মূল মন্দিরের সোজাসুজি চাঁদনি ঘাটে। কারণ, পুজো শুরুর আগে ঘটে জল ভরার মুহূর্তের সাক্ষী থাকতে সেখানে কয়েক হাজার দর্শনার্থী ভিড় জমান। রিভার ট্র্যাফিক পুলিশ, ব্যারাকপুর কমিশনারেট, বিপর্যয় মোকাবিলা দফতরের কর্মীরা ঘিরে রাখেন ঘাটের সামনের অংশ। জোরালো সার্চ লাইট-সহ মজুত থাকেন ডুবুরিরা। ছয়ের দশকে তলিয়ে গিয়েছিলেন পুরোহিত-সহ কয়েক জন। তার পর থেকেই এমন নিরাপত্তা থাকে বলে জানান মন্দির কর্তৃপক্ষ।

পুজো উপলক্ষে মন্দির চত্বরে থাকছে গান, স্তোত্র পাঠ। দক্ষিণেশ্বর কালী মন্দির ও দেবোত্তর এস্টেটের অছি এবং সম্পাদক কুশল চৌধুরী জানান, কথামৃতে যেমন ভাবে ভবতারিণীকে সাজানোর কথা রয়েছে, তেমনটাই করা হচ্ছে। বিশেষ ধরনের স্বর্ণালঙ্কারে সাজানো হবে প্রতিমা। পাঁচ রকমের মাছ, ভাজা, মিষ্টি, ঘি ভাত ভোগ দেওয়া হবে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন