সরকারি কার্ডেই দিন-বিভ্রাট

তথ্য ও সংস্কৃতি দফতরের তরফে পাঠানো ওই আমন্ত্রণপত্রে বলা হয়েছে, নবান্ন সভাঘরে আগামী ১৪ তারিখ ওই পুরস্কার দেওয়া হবে। কিন্তু ১৪ তারিখের পাশেই যে দিনের কথা বলা হয়েছে, তা হল বৃহস্পতিবার!

Advertisement

দেবাশিস ঘড়াই

শেষ আপডেট: ১৩ নভেম্বর ২০১৮ ০১:৩৩
Share:

এই আমন্ত্রণপত্র ঘিরেই বিভ্রান্তি। নিজস্ব চিত্র

মুখ্যমন্ত্রী তো বটেই। তাঁর পারিষদেরাও সকলে উপস্থিত থাকবেন। বিভিন্ন বিভাগে শহরের সেরা পুজোগুলির হাতে তুলে দেওয়া হবে ‘বিশ্ব বাংলা শারদ সম্মান’। এই পর্যন্ত সব ঠিক ছিল। কিন্তু বাদ সেধেছে আমন্ত্রণপত্রে ছাপা দিন ও তারিখ। সেখানে যে তারিখ ও দিনের উল্লেখ করা হয়েছে, তা পরস্পরের সঙ্গে মিলছে না। পুজো উদ্যোক্তাদেরও অনেকে হতভম্ব দিন-তারিখ বিভ্রাট নিয়ে।

Advertisement

তথ্য ও সংস্কৃতি দফতরের তরফে পাঠানো ওই আমন্ত্রণপত্রে বলা হয়েছে, নবান্ন সভাঘরে আগামী ১৪ তারিখ ওই পুরস্কার দেওয়া হবে। কিন্তু ১৪ তারিখের পাশেই যে দিনের কথা বলা হয়েছে, তা হল বৃহস্পতিবার! কিন্তু ক্যালেন্ডার বলছে, বৃহস্পতিবার ১৫ তারিখ। ১৪ তারিখ আগামিকাল, বুধবার। ফলে তারিখ না দিন, কীসে গোলমাল হয়েছে, তা নিয়েই বিভ্রান্তিতে পুজো উদ্যোক্তাদের একাংশ।

উত্তর কলকাতার এক পুজো উদ্যোক্তার কথায়, ‘‘কবে যে অনুষ্ঠান, সেটা প্রথমে বুঝতে পারিনি। কারণ, তারিখ এক, দিন আর এক লেখা রয়েছে আমন্ত্রণপত্রে। তবে পরে খোঁজ করে জেনেছি, বুধবারই অনুষ্ঠান হবে।’’ দক্ষিণ কলকাতার এক পুজো উদ্যোক্তা বলেন, ‘‘সরকারি আমন্ত্রণপত্রে এ রকম ভুল প্রত্যাশিত নয়। কারণ, কবে অনুষ্ঠান সেটাই তো গুলিয়ে যাচ্ছিল।’’

Advertisement

প্রসঙ্গত, প্রতিমা, মণ্ডপ, আলোকসজ্জা-সহ নানা বিভাগে সেরা পুজোগুলিকে প্রতি বারই পুরস্কৃত করে রাজ্য সরকার। এ বারও তার ব্যতিক্রম হচ্ছে না। চলতি বছরেও শহরের মোট ৭৫টি পুজো কমিটিকে সেরা হিসেবে ঘোষণা করেছে রাজ্য সরকার। কলকাতা বাদ দিয়ে জেলার সেরা পুজোগুলিকেও পুরস্কার দেওয়ার কথা ঘোষণা করা হয়েছে রাজ্য সরকারের তরফে।

সেরাদের পুরস্কৃত করার জন্য নবান্ন সভাঘরে সমস্ত রকম আয়োজনও সম্পূর্ণ হয়ে গিয়েছে। ওই দিন প্রায় সাড়ে সাতশো আমন্ত্রিতের উপস্থিত থাকার কথা। তার মধ্যে সাড়ে ছ’শোর মতো পুজো কমিটির সদস্যেরা থাকবেন। বাকিরা হলেন বিশিষ্ট অতিথি ও বিচারকেরা।

কিন্তু এই এলাহি আয়োজনেই বিভ্রান্তি ছড়িয়েছে তারিখ-দিনের গোলমাল নিয়ে। বিভ্রান্তির কথা স্বীকার করে নিয়েছে তথ্য ও সংস্কৃতি দফতরও। দফতরের তরফে জানানো হয়েছে, কোনও একটি গোলযোগের কারণেই এই বিপত্তি। পরে যখন তা ধরা পড়েছে, সঙ্গে সঙ্গে

সংশোধনও করা হয়েছে কয়েকটি কার্ডের ক্ষেত্রে। বৃহস্পতিবারের উপরে একটি কাগজে বুধবার লেখা হয়েছে।

তথ্য ও সংস্কৃতি দফতরের প্রধান সচিব বিবেক কুমার বলেন, ‘‘একটা সমস্যা হয়েছে ঠিকই। কী ভাবে এমন হল, আমরা খোঁজ নিয়ে দেখছি। তবে অনুষ্ঠান বুধবারই হবে।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন