শাসকের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব নিয়ে উত্তপ্ত দত্তাবাদ

পুলিশের অবশ্য দাবি, এ দিন কোনও গোলমালই হয়নি। ওই ঘর খোলার চেষ্টা হয়েছিল। কাউন্সিলরের অভিযোগে সেটি বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। কাউন্সিলরের বিরুদ্ধে তৃণমূল নেত্রী অপর্ণা প্রামাণিকের পাল্টা অভিযোগ, ওই অস্থায়ী ঘরে এলাকার ছেলেরা ক্যারম খেলত। নির্মল দত্ত এবং তাঁর অনুগামীরা জোর করে সেটির দখল নেন। ওই ঘরে কাউন্সিলরের অনুগামীদের ব্যবসার মালপত্র থাকে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ১৫ জুন ২০১৭ ০৩:৪০
Share:

সল্টলেকের দত্তাবাদে বিভিন্ন কারণে শাসক দলের দুই গোষ্ঠীর কাজিয়া প্রকাশ্যে এসে পড়েছে। গত কয়েক দিন ধরে ওই এলাকার ৩৮ নম্বর ওয়ার্ডে জলের সংযোগ দেওয়া নিয়ে কাউন্সিলর বনাম বিরুদ্ধ গোষ্ঠীর গোলমাল চলছে।

Advertisement

বুধবার সকালে লাবণি বাসস্ট্যান্ডে তালা দেওয়া অস্থায়ী ঘর খোলাকে কেন্দ্র করে উত্তেজনা ছড়ায়। স্থানীয় কাউন্সিলর নির্মল দত্তের অভিযোগ, ৩৮ নম্বর ওয়ার্ডে সিন্ডিকেটের দু’টি অস্থায়ী ঘর তৈরি হয়েছিল। সে দু’টি বন্ধ ছিল। ঘর খোলার চেষ্টার কথা জানতে পেরেই তিনি আপত্তি জানান। থানায় অভিযোগও করেন। পুলিশের অবশ্য দাবি, এ দিন কোনও গোলমালই হয়নি। ওই ঘর খোলার চেষ্টা হয়েছিল। কাউন্সিলরের অভিযোগে সেটি বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। কাউন্সিলরের বিরুদ্ধে তৃণমূল নেত্রী অপর্ণা প্রামাণিকের পাল্টা অভিযোগ, ওই অস্থায়ী ঘরে এলাকার ছেলেরা ক্যারম খেলত। নির্মল দত্ত এবং তাঁর অনুগামীরা জোর করে সেটির দখল নেন। ওই ঘরে কাউন্সিলরের অনুগামীদের ব্যবসার মালপত্র থাকে।

বুধবার রাতে ফের উত্তেজনা ছড়ায় বালির মাঠে। সেখানে রাস্তার ধারের দু’টি কল ভেঙে দেওয়ার চেষ্টা হয়।

Advertisement

অপর্ণাদেবীর অভিযোগ, কাউন্সিলর হওয়ার পর থেকে নির্মলবাবু ও তাঁর বাহিনীর দাপটের জন্য বাসিন্দাদের একাংশ পুরসভার কল থেকে জল নিতে পারেন না। নতুন কল লাগানোর কাজেও বাধা দিচ্ছেন কাউন্সিলর। কিন্তু কাউন্সিলরই আবার পুর অনুমতি না নিয়ে কল বসাচ্ছেন।

অভিযোগ অস্বীকার করে কাউন্সিলর বলেন, ৩০টি কল লাগানো হবে। তার অনুমতি রয়েছে। কয়েক জনের বাড়িতে জল সরবরাহ করতে যাওয়ায় কাজে বাধা দেওয়া হচ্ছে। এমনকী, কল ভেঙেও দেওয়া হয়েছে।

নির্মলবাবু বলেন, ‘‘মেয়রের নাম করে অপর্ণা ও তাঁর বাহিনী কাজে বাধা দিচ্ছেন। আমাদের মেয়র এমন নন। কিন্তু যাঁরা করছেন, তাঁদের বিরুদ্ধে কোনও পদক্ষেপ করা হচ্ছে না।’’

মেয়র সব্যসাচী দত্ত অবশ্য শাসক দলের গোষ্ঠী-কোন্দল নিয়ে কোনও মন্তব্য করেননি। তবে জল নিয়ে কাজিয়া প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘‘কে কী বলছেন জানি না। পুরসভার ইঞ্জিনিয়ারেরা সব দিক খতিয়ে দেখে আইন মোতাবেক জলের সংযোগ দেওয়ার কাজ করবেন।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন