Dead body recovered

দুর্ঘটনায় স্বামীর মৃত্যু, সাত মাস পরে ‘আত্মঘাতী’ তরুণী

পুলিশের অনুমান, দুর্ঘটনায় স্বামীর মৃত্যু এবং নিজে গুরুতর জখম হওয়ার কারণে অবসাদে ভুগছিলেন শিল্পা। সেই কারণে তিনি আত্মঘাতী হয়ে থাকতে পারেন।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ১০ জুন ২০২৩ ০৭:৫০
Share:

—প্রতীকী চিত্র।

স্বামী দুর্ঘটনায় মারা গিয়েছেন গত নভেম্বর মাসে। গুরুতর জখম হয়েছিলেন স্ত্রী-ও। বৃহস্পতিবার রাতে বেহালা থানার মিনি পার্ক এলাকার ভাড়া বাড়ি থেকে সেই তরুণীর ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হল। পুলিশ সূত্রের খবর, মৃতার নাম শিল্পা অধিকারী (২৩)। পুলিশ জানিয়েছে, শিল্পার স্বামীর নাম বিকাশ পাণ্ডে। তাঁদের একটি তিন বছরের ছেলে রয়েছে। স্বামীর মৃত্যুর পরে মা কৃষ্ণা অধিকারীর সঙ্গে মিনি পার্কের ওই বাড়িতে ভাড়া থাকতেন শিল্পা।

Advertisement

এই ঘটনার পরে বোনের বাড়িতে রয়েছেন কৃষ্ণা। শুক্রবার সেখানে গিয়ে দেখা গেল, শোকে ভেঙে পড়েছেন তিনি। কৃষ্ণা রান্নার কাজ করেন। তিনি বলেন, ‘‘দুর্ঘটনায় শিল্পার কোমর এবং ডান হাত ভেঙে গিয়েছিল। অনেক কষ্টে মেয়েটাকে বাঁচিয়ে এনেছিলাম। শয্যাশায়ী ছিল বহু দিন। দিন ১৫ হল, একটু একটু করে হাঁটছিল। গত ২৯ মে গাড়িতে করে একটি অনুষ্ঠানেও গিয়েছিল। আর একটি অস্ত্রোপচার হওয়ারও কথা ছিল।’’ কৃষ্ণা জানান, বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা সাড়ে ৬টা নাগাদ তিনি কাজে বেরিয়েছিলেন। প্রতিদিনের মতো দরজা বাইরে থেকে বন্ধ করে দিয়ে গিয়েছিলেন। কাজের জায়গা থেকে তিনি ফোন করলেও শিল্পা ফোন ধরেননি। রাত ৯টা নাগাদ বাড়ি ফিরে কৃষ্ণা দেখেন, দরজা ভিতর থেকে বন্ধ। ঘরের পিছন দিকের জানলা দিয়ে ভিতরে মেয়েকে ঝুলন্ত অবস্থায় দেখেন তিনি। শিল্পাকে উদ্ধার করে বিদ্যাসাগর স্টেট জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে চিকিৎসকেরা তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন।

পুলিশের অনুমান, দুর্ঘটনায় স্বামীর মৃত্যু এবং নিজে গুরুতর জখম হওয়ার কারণে অবসাদে ভুগছিলেন শিল্পা। সেই কারণে তিনি আত্মঘাতী হয়ে থাকতে পারেন। নভেম্বরে প্রিন্স আনোয়ার শাহ রোডে শিল্পা ও বিকাশের দাঁড়িয়ে থাকা স্কুটারে ধাক্কা মারে একটি লরি। এম আর বাঙুরে বিকাশকে মৃত ঘোষণা করা হয়। শিল্পার চিকিৎসা হয় পিজিতে।

Advertisement
(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন