বহুতলের পাঁচিল ভেঙে মাথায়, মৃত্যু কিশোরীর

সোমবার সকালে হাওড়া পুরসভার ৫৮ নম্বর ওয়ার্ডের অধীনে বেলুড়ের ভোটবাগানে ওই ঘটনা ঘটে। ঘটনার পরে এলাকায় বেআইনি নির্মাণের বিরুদ্ধে সরব হয়েছেন স্থানীয় বাসিন্দারাও।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ০১ জানুয়ারি ২০১৯ ০২:২৯
Share:

কহেকশা খাতুন

আগেও দু’ বার পাঁচিল ভেঙে পড়েছিল বহুতলটির। তৃতীয়বার একই ঘটনা ঘটে মৃত্যু হল এক কিশোরীর। সোমবার সকালে হাওড়া পুরসভার ৫৮ নম্বর ওয়ার্ডের অধীনে বেলুড়ের ভোটবাগানে ওই ঘটনা ঘটে। ঘটনার পরে এলাকায় বেআইনি নির্মাণের বিরুদ্ধে সরব হয়েছেন স্থানীয় বাসিন্দারাও।

Advertisement

পুলিশ জানায়, কহেকশা খাতুন (১৬) নামে ওই কিশোরী ভোটবাগানের কাশী মণ্ডল লেনে থাকত। এ দিন সকাল ১১ টা নাগাদ সে শামিম রোডের ওই বহুতলের নীচে দিয়ে যাচ্ছিল। সেই সময় বহুতলের পাঁচ তলায় পাঁচিল গাঁথার কাজ চলছিল। ওই পাঁচিল কহেকশার মাথায় ভেঙে পড়ে। গুরুতর জখম কিশোরীকে জয়সওয়াল হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে চিকিৎসকেরা তাকে মৃত বলে ঘোষণা করেন।

স্থানীয়েরা জানান, রক্তাক্ত অবস্থায় রাস্তায় পড়েছিল ওই কিশোরী। তাঁর মৃত্যুর খবর চাউর হতেই অবিলম্বে ওই নির্মাণ বন্ধের দাবি তোলেন স্থানীয় বাসিন্দারা। তাঁদের অভিযোগ, নিম্ন মানের সামগ্রী দিয়ে বহুতলের নির্মাণের কাজ হচ্ছিল।

Advertisement

মেয়াদ শেষ হওয়ায় হাওড়া পুরসভার বোর্ড ভেঙে গিয়েছে সম্প্রতি। তা সত্ত্বেও সদ্য প্রাক্তন হওয়া স্থানীয় কাউন্সিলর তফজিল আহমেদের ‘নজরদারি’ নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন স্থানীয় মানুষ। দু’ বার পাঁচিল ভেঙে পড়ার পরেও ওই বহুতলের নির্মাণের কাজ চলার বিষয়টি পুর কর্তৃপক্ষের নজরে কেন পড়ল না তা নিয়েও প্রশ্ন তোলেন স্থানীয়েরা।

পুরসভা সূত্রে খবর, বাড়িটির দোতলার অনুমোদন চাওয়া হয়েছিল। কিন্তু অনুমোদনের আগে পাঁচতলা তুলে দেওয়া হয়। ঘটনার পরে বিল্ডিং বিভাগের সংশ্লিষ্ট ইঞ্জিনিয়ারকে এ নিয়ে কারণ দর্শাতে নির্দেশ দিয়েছেন উচ্চতর কর্তৃপক্ষ। পুরসভার কমিশনার তথা প্রশাসক বিজিন কৃষ্ণ বলেন, ‘‘কারও গাফিলতি প্রমাণিত হলে কড়া ব্যবস্থা নেওয়া হবে। প্রয়োজনে এফআইআরও করা হবে।’’

বেআইনি নির্মাণ নিয়ে ক্ষুব্ধ স্থানীয় বিধায়ক বৈশালী ডালমিয়াও। তিনি বলেন, ‘‘কিছু লোক বেআইনি নির্মাণ করছিল বলে শুনেছি। তার জেরেই এই দুঃখজনক ঘটনা।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন