Municipal Schools

বর্ষাতি-পোশাক বিতর্কে উত্তর মিলল না পুরসভার

শনিবার ছিল পুরসভার মাসিক অধিবেশন। সেখানে বিজেপির পুরপ্রতিনিধি সজল ঘোষ বর্ষাতি ও স্কুল-পোশাক কেনার ক্ষেত্রে অনিয়মের অভিযোগের প্রসঙ্গটি প্রস্তাবে এনেছিলেন।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ২০ অগস্ট ২০২৩ ০৭:১১
Share:

—প্রতীকী চিত্র।

দরপত্র না ডেকেই কলকাতা পুরসভার স্কুলগুলির পড়ুয়াদের জন্য দেড় কোটি টাকার বর্ষাতি ও স্কুলের পোশাক কেনার বিষয়টি পুর অধিবেশনের প্রস্তাবে থাকলেও কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে এর কোনও ব্যাখ্যা মিলল না। শনিবার ছিল পুরসভার মাসিক অধিবেশন। সেখানে বিজেপির পুরপ্রতিনিধি সজল ঘোষ বর্ষাতি ও স্কুল-পোশাক কেনার ক্ষেত্রে অনিয়মের অভিযোগের প্রসঙ্গটি প্রস্তাবে এনেছিলেন। কিন্তু পুর চেয়ারপার্সন মালা রায় অধিবেশনের শেষে জানান, মেয়র পারিষদ (শিক্ষা) সন্দীপন সাহা উপস্থিত না থাকায় পরের মাসিক অধিবেশনে বিষয়টি ফের উত্থাপিত হবে।

Advertisement

পুর অধিবেশন শেষ হওয়ার পরে কাউন্সিলর্স ক্লাব রুমে সজল একাধিক বিষয় নিয়ে সাংবাদিক বৈঠক করতে যান। পুরসভার নিয়ম-নীতির তোয়াক্কা না করে দরপত্র ছাড়াই কোটি টাকার বেশি ব্যয়ে বর্ষাতি ও স্কুল-পোশাক কেনার বিষয়টি নিয়ে বলতে শুরু করেন তিনি। তাঁর কথা শুরু হতে না হতেই তৃণমূলের পুরপ্রতিনিধিরা সজলের দিকে তেড়ে আসেন। দু’পক্ষের মধ্যে তীব্র বাদানুবাদ শুরু হয়ে যায়। তৃণমূলের পুরপ্রতিনিধিদের সঙ্গে বিজেপির পুরপ্রতিনিধিদের ধস্তাধস্তি শুরু হয়। পরে পুলিশ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। সজলের বক্তব্য, ‘‘অধিবেশন কক্ষে মেয়র পারিষদ (শিক্ষা) না থাকলেও মেয়র তো ছিলেন। অধিবেশনে অন্যান্য একাধিক বিষয়ের প্রস্তাব ও প্রশ্নের জবাব দিলেন মেয়র। অথচ, টেন্ডার ছাড়াই কোটি টাকার বেশি খরচ করে বর্ষাতি ও স্কুল-পোশাক কেনার মতো গুরুত্বপূর্ণ ঘটনা সম্পর্কে নীরব রইলেন। এতেই প্রমাণিত হয় যে, মেয়র দুর্নীতিকে প্রশ্রয় দিচ্ছেন।’’

অভিযোগের জবাবে মেয়র বলেন, ‘‘কে কী বললেন, তাতে আমার কিছু যায়-আসে না। প্রকৃত তথ্যের উপরে ভিত্তি করে এর জবাব আমি দেব।’’ এ দিন সজল পুর অধিবেশনের একেবারে শেষ প্রস্তাবে বলেছিলেন, ‘‘পুরসভার নিয়ম অনুযায়ী, নির্দিষ্ট অঙ্কের উপরে যে কোনও কাজের ক্ষেত্রেই টেন্ডার ডাকতে হয়। কিন্তু দেখা যাচ্ছে, নিয়ম-নীতির তোয়াক্কা না করে স্কুলপড়ুয়াদের জন্য বর্ষাতি ও পোশাক কেনা হয়েছে। এই ধরনের ঘটনা কলকাতা পুরসভার গরিমা নষ্ট করে। তাই আমার প্রস্তাব, পুর অধিবেশনে এই সংক্রান্ত সমস্ত তথ্য পুরপ্রতিনিধিদের জানানো হোক।’’ নিয়ম মতো মেয়র পারিষদ (শিক্ষা) সন্দীপন সাহারই এ বিষয়ে জবাব দেওয়ার কথা ছিল। কিন্তু তিনি না থাকায় পুর চেয়ারপার্সন মালা রায় জানান, আগামী মাসের পুর অধিবেশনে প্রস্তাবটি ফের উত্থাপন করা হবে।

Advertisement
(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন