ডেঙ্গি-যুদ্ধে আগামী চার মাস অভিযান বিধাননগর পুরসভার

মশাবাহিত রোগ প্রভাবিত এলাকা চিহ্নিত করে আগামী চার মাস বিশেষ অভিযান চালানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে পুরসভা। তবে পুরসভাকে বেশি চিন্তায় রেখেছে চার নম্বর বরো।

Advertisement

কাজল গুপ্ত

শেষ আপডেট: ১৪ জুলাই ২০১৮ ০৩:২১
Share:

জবরদখল না সরালে এ বছরেও মশাবাহিত রোগের প্রকোপ ঠেকানো মুশকিল হবে। রাজ্য প্রশাসনের কাছে এমন বার্তা ইতিমধ্যেই পাঠিয়েছে বিধাননগর পুরসভা। পুরসভা সূত্রের খবর, তা নিয়ে নগরোন্নয়ন দফতরের সঙ্গে এক দফা আলোচনাও হয়েছে।

Advertisement

মশাবাহিত রোগ প্রভাবিত এলাকা চিহ্নিত করে আগামী চার মাস বিশেষ অভিযান চালানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে পুরসভা। তবে পুরসভাকে বেশি চিন্তায় রেখেছে চার নম্বর বরো। তাই সেখানে সর্বাধিক গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে। পুরসভা সূত্রের খবর, প্রতিটি ওয়ার্ডের দায়িত্বপ্রাপ্ত অফিসার ও মশানিধনের কর্মীদের সঙ্গে বৈঠক চলছে। পুরসভার নির্দেশ, জল জমতে দেওয়া যাবে না। বাড়িতে গিয়ে তথ্য সংগ্রহের পাশাপাশি জমা জল দেখলেই পদক্ষেপ করতে হবে। স্বাস্থ্য দফতরের সঙ্গে জঞ্জাল অপসারণের কর্মীরা এ কাজ করবেন।

প্রত্যেকটি ওয়ার্ড এলাকায় ওষুধের দোকান এবং রক্তপরীক্ষা কেন্দ্রগুলিতে জ্বরের রোগী এলে দ্রুত বিধাননগর পুরসভাকে জানানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এই বার্তা ইতিমধ্যেই মৌখিক ভাবে দোকানে গিয়ে বলে দিতে হবে। চার নম্বর বরোর চেয়ারম্যান বাণীব্রত বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘‘এই বরোতে নিচু ও জলা জমি রয়েছে। পাশাপাশি দখলের সমস্যাও রয়েছে। অতিরিক্ত পাম্প বসিয়ে জল সরানো হবে।’’ তিনি জানান, কর্মী থেকে আধিকারিকদের প্রত্যেকের কাজ ভাগ করে দেওয়া হয়েছে। কাজ শুরুও হয়েছে। যাঁরা রক্ত সংগ্রহ ও পরীক্ষার কাজ করছেন তাঁদের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ রাখা হবে, যাতে এলাকায় মশাবাহিত রোগ সম্পর্কে পুরসভা ওয়াকিবহাল থাকতে পারে।

Advertisement

পুরসভার একাংশের কথায়, প্রতি বছর মশাবাহিত রোগে আক্রান্তদের সম্পর্কে তথ্য সময়ে আসে না। এ বার যাতে তার পুনরাবৃত্তি না হয় তাই নিয়মিত নজরদারিও রাখা হবে। তবে পুরসভা মশাবাহিত রোগ প্রতিরোধে যে পদক্ষেপের কথাই বলুন না কেন, নিচু জলা এলাকায় এবং জবরদখল এলাকায় কতটা এই রোগের মোকাবিলা করা সম্ভব তা নিয়ে প্রশাসনের অভ্যন্তরেই সংশয় রয়েছে।

পুরসভার মেয়র পারিষদ(স্বাস্থ্য) প্রণয় রায় জানান, নিচু জায়গা ও জবরদখলের সমস্যা নিয়ে জানানো হয়েছে। আলোচনা চলছে। ওই সমস্যা না মিটলে মশাবাহিত রোগের মোকাবিলা করা মুশকিল। সে কথা নগরোন্নয়ন দফতরকে বলা হয়েছে। ফলে ওই সব এলাকা নিয়ে চিন্তা রয়েছে। তিনি বলেন, ‘‘সমস্যা মেটানোর জন্য আলোচনা চলছে। তবে আগামী চারমাস যুদ্ধকালীন পরিস্থিতিতে মশাবাহিত রোগ মোকাবিলা করা হবে।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন