ভোগান্তির পথ। ছবি: অরুণ লোধ
রাস্তার পিচ উঠে বেরিয়ে পড়েছে কঙ্কাল। রাস্তা জুড়ে বড় বড় গর্ত। বৃষ্টি পড়লে গর্তে জমা জল-কাদায় গাড়ির গতি শ্লথ হয়। বৃষ্টি না হলে প্রচণ্ড ধুলোয় নাক-মুখ ঢেকে চলতে হয়। এই বেহাল ছবি ডায়মন্ড হারবার রোডের চড়িয়াল খাল থেকে বেহালা চৌরাস্তা পর্যন্ত। নিত্যযাত্রীদের অভিযোগ, ইস্ট-ওয়েস্ট মেট্রোর কাজের জন্য দীর্ঘ দিনই এই হাল। যখন তখন দুর্ঘটনা। কার্যত নৌকোর মতো দুলে দুলে চলে গাড়ি।
১১৭ নম্বর জাতীয় সড়কের একটি অংশ এই রাস্তা। বিশেষ করে শীলপাড়া, কদমতলা, ঠাকুরপুকুর স্টেট ব্যাঙ্ক পার্ক, ডায়মন্ড পার্ক-সহ বেশ কিছু এলাকায় রাস্তা নেই বললেই চলে। বাসিন্দাদের ক্ষোভ, ইট দিয়ে বিশাল বিশাল গর্ত চাপা দেওয়া হচ্ছে। বর্ষার মধ্যে পিচ হলে এক মাসও টিকবে না। পিচ না হলে ভারী গাড়ির চাপে কয়েক দিনেই ফের বেরিয়ে পড়বে গর্ত। কিন্তু প্রশাসনের একাংশের মত, উন্নয়নের কাজে ভোগান্তি হবেই। কিন্তু কত দিন? জানা নেই প্রশাসনেরও।
উন্নয়নের গেরোয় যাত্রী ভোগান্তির সাম্প্রতিকতম ছবি, বাইপাস রুবি মোড়ের কাছে টেগোর পার্ক। ব্যস্ত সময়ে সেখানে রাস্তায় ধস নামায় থামকে যায় যান। এ জন্যও ইস্ট-ওয়েস্ট মেট্রোর কাজকেই দায়ী করেছে রাজ্য নগরোন্নয়ন দফতর।
নিত্যযাত্রী সুজন মল্লিক বলেন, “বাইপাসের ঘটনাতেও প্রশাসনের টনক নড়ছে না। ডায়মন্ড হারবার রোডেও কোনও দিন বড় অঘটন ঘটতে পারে।”
মাঝেরহাট ব্রিজ থেকে চড়িয়াল খাল পর্যন্ত সাত কিলোমিটার অংশের দায়িত্ব পিডব্লিউডি-র আলিপুর ডিভিশনের। দফতরের এক আধিকারিক জানান, মেট্রোর কাজ ও বেহাল নিকাশি রাস্তা খারাপের অন্যতম কারণ। পুজোর আগে আপাতত প্যাচওয়ার্ক হবে। আবহাওয়া শুকনো হলে পিচ করা হবে।
পিডব্লিউডি সূত্রে খবর, এক দশকের বেশি সময়ে কোনও বড় সংস্কার হয়নি এই রাস্তায়। গত ক’বছরে গর্ত সারাতে প্যাচওয়ার্ক ছাড়া কিছুই হয়নি। তবে ডায়মন্ড হারবার রোডের ব্যাপক সংস্কার নিয়ে ভাবনা চলছে। যদিও বিষয়টি একেবারেই প্রাথমিক স্তরে। তবে রেলওয়ে বিকাশ নিগম লিমিটেডের পক্ষ থেকে মেট্রোর কাজের জন্য ক্ষতিগ্রস্ত ডায়মন্ড হারবার রোড সারানো প্রসঙ্গে কথা বলতে রাজি হননি আধিকারিকেরা।