তদন্ত এগোতেই অসঙ্গতি বাড়ছে

অ্যাপোলো হাসপাতাল গোষ্ঠীর কর্ণধার পৃথা রেড্ডিকে আগামী মঙ্গলবার বিকেলে নবান্নে এসে কথা বলার জন্য সময় দিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। নবান্ন সূত্রের খবর, মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করার অনুরোধ জানিয়েছিলেন পৃথা।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ১৯ মার্চ ২০১৭ ০১:০৬
Share:

অ্যাপোলো হাসপাতাল গোষ্ঠীর কর্ণধার পৃথা রেড্ডিকে আগামী মঙ্গলবার বিকেলে নবান্নে এসে কথা বলার জন্য সময় দিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। নবান্ন সূত্রের খবর, মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করার অনুরোধ জানিয়েছিলেন পৃথা।

Advertisement

বেলেঘাটা কানেক্টরের অ্যাপোলো গ্লেনেগ্‌লস হাসপাতালে ডানকুনির যুবক সঞ্জয় রায়ের মৃত্যুর ঘটনায় পুলিশি তদন্ত যতই এগোচ্ছে, ততই তাঁর চিকিৎসার বিলে নানা রকম অসঙ্গতি সামনে আসছে বলে জানিয়েছেন তদন্তকারী অফিসারেরা। ওই বেসরকারি হাসপাতাল থেকে বাজেয়াপ্ত করা ৬৫০ পাতার চিকিৎসা এবং বিল সংক্রান্ত নথিপত্র খতিয়ে দেখার পরে তদন্তকারীদের মনে হয়েছে, সঞ্জয়বাবুর চিকিৎসার জন্য আদৌ প্রয়োজনীয় নয়, এমন অনেক পরীক্ষা ও ওষুধ ওই সমস্ত বিলে জুড়ে দেওয়া হয়েছে।

পুলিশের কাছে অবশ্য অ্যাপোলো-র কর্তারা দাবি করেছেন, সঞ্জয়কে এসএসকেএম হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার আগে বকেয়া বিলের অঙ্কটাই শুধু মিটিয়ে দিতে বলা হয়েছিল। কিন্তু জোর করে কখনওই তাঁর পরিবারের ফিক্সড-ডিপোজিটের কাগজপত্র আটকে রাখা হয়নি। পুলিশ জানিয়েছে, শনিবার সঞ্জয়ের মা সোমা রায় ফুলবাগান থানায় এসে তদন্তকারী অফিসারদের সঙ্গে কথা বলেন। পরে থানার বাইরে এসে তিনি বলেন, ‘‘পুলিশ খুব ভাল কাজ করছে। আশা করি, আমার ছেলের মৃত্যুর ঘটনায় দোষীরা ধরা পড়বে এবং উপযুক্ত শাস্তি পাবে।’’ পুলিশ জানায়, তদন্তের প্রয়োজনে সঞ্জয়ের পরিবারের সঙ্গে আবার কথা বলা হবে। জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে ওই সময়ে ঘটনাস্থলে থাকা হাসপাতালের কর্মীদেরও।

Advertisement

অন্য দিকে, আর এক বেসরকারি হাসপাতাল মেডিকায় সুনীল পাণ্ডে নামে এক ব্যক্তির মৃত্যুর ঘটনায় পুলিশকে এখনও প্রয়োজনীয় নথিপত্রই দিয়ে উঠতে পারেননি ওই হাসপাতালের কর্তারা। ওই হাসপাতালে সুনীলবাবুর একটি পা অস্ত্রোপচার করে বাদ দেওয়া হয়েছিল। তার পরেই মারা যান তিনি। হাসপাতাল সেই কাটা পা নষ্ট করে ফেলে। পুলিশের অনুমতি না-নিয়ে সেই পা কেন নষ্ট করে ফেলা হল, হাসপাতালের কাছে সেই সংক্রান্ত রিপোর্ট তলব করেছে পুলিশ। সুনীলবাবুর চিকিৎসার ভিডিও
ফুটেজ খতিয়ে দেখতে শনিবার বিকেলে ওই হাসপাতালে যান তদন্তকারীরা। ওই ফুটেজের হার্ড ডিস্কটি নিয়ে এসেছেন তাঁরা।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন