মহিলাকে কটূক্তির অভিযোগে এক চিকিৎসককে মারধরের অভিযোগ উঠল। রবিবার রাতে, সোনারপুর থানার নতুনদিয়ারা এলাকার রবীন্দ্রপল্লিতে। শুধু ওই চিকিৎসকই নন, তাঁর স্ত্রী-মেয়েকেও মারধর করা হয় বলে অভিযোগ। এ দিকে, রাতেই প্রসেনজিৎ বিশ্বাস নামে ওই চিকিৎসকের বিরুদ্ধে ওই মহিলা শ্লীলতাহানির অভিযোগ দায়ের করেন বলে সোনারপুর থানা সূত্রে খবর। প্রসেনজিৎবাবু মেডিক্যালে ভর্তি।
পুলিশ সূত্রে খবর, রবিবার স্ত্রী চম্পা ও মেয়েকে নিয়ে বাড়ি থেকে বেরিয়েছিলেন পেশায় দন্ত চিকিৎসক প্রসেনজিৎবাবু। এলাকারই বাসিন্দা এক মহিলার অভিযোগ, রাস্তা দিয়ে যাওয়ার সময়ে তাঁকে কটূক্তি করেন প্রসেনজিৎবাবু। তখন স্থানীয় মহিলারা একজোট হয়ে ওই চিকিৎসককে মারধর করেন। তবে প্রসেনজিৎবাবুর পাল্টা অভিযোগ, তাঁকে মিথ্যা অপবাদে মারধর করা হয়েছে। শুধু মহিলারাই নন, স্থানীয় ৪ নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূল কাউন্সিলর বিভাস মুখোপাধ্যায়ের অনুগামীরাও মারধর করেন। অভিযোগ, চিকিৎসকের স্ত্রীর শ্লীলতাহানি ও মেয়েকে মারধর করা হয়। তাঁর স্ত্রীর চোয়ালের হাড়ে চিড় ধরেছে বলে জানান চিকিৎসকেরা। সোমবার এই মর্মে প্রসেনজিৎবাবু পুলিশে অভিযোগ দায়ের করেন।
বিভাসবাবু অবশ্য জানান, এই ঘটনায় তাঁর কোনও অনুগামী জড়িত নন। তিনি বলেন, ‘‘সব শুনে ঘটনাস্থলে যাই। ওই চিকিৎসককে উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠাই। ওই চিকিৎসকের ব্যবহারে স্থানীয় বাসিন্দারা ক্ষিপ্ত, তাই হয়তো মারধর করা হয়।’’ দু’পক্ষের অভিযোগের ভিত্তিতে মামলা দায়ের করে তদন্ত শুরু হয়েছে।
পুলিশ সূত্রে খবর, সপ্তাহ দুয়েক আগেও এলাকার বাসিন্দাদের সঙ্গে গোলমাল হয় প্রসেনজিৎবাবুর। তখন তাঁর অভিযোগের ভিত্তিতে কয়েক জনকে গ্রেফতারও করা হয়। তবে তদন্তকারী এক অফিসারের কথায়, সোনারপুর থানার আধিকারিকেরা দু’পক্ষের অভিযোগের ভিত্তিতে বৈঠক করলে তখন সমস্যা মিটে গিয়েছিল। পুলিশ জানায়, বছর দুয়েক আগেও এ ধরনের ঘটনা ঘটে। এ ছাড়া, বছর চারেক আগে গড়িয়া স্টেশন সংলগ্ন শ্রীনগর এলাকায় থাকাকালীনও এলাকার বাসিন্দাদের সঙ্গে বচসায় জড়িয়ে পড়েছিলেন প্রসেনজিৎবাবু।