প্রতীকী ছবি।
ইচ্ছে থাকলেও বিস্তর খরচ এবং পরিকাঠামোর অভাবে উপায় ছিল না রাস্তার কুকুরের নির্বীজকরণ। অথচ রাতে তো বটেই, কুকুরের উপদ্রব দিনেও বাড়ছে বলে অভিযোগ আসছিল দক্ষিণ দমদম পুরসভার কাছে। এ বার সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিয়েছে পশ্চিমবঙ্গ প্রাণী ও মৎস্যবিজ্ঞান বিশ্ববিদ্যালয়। তাদের সহযোগিতায় রাস্তার কুকুরের নির্বীজকরণের কাজ শুরু করল দক্ষিণ দমদম পুরসভা। ওই বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে দক্ষিণ দমদম পুরসভা একটি মউও স্বাক্ষর করেছে। কুকুরের নির্বীজকরণ করতে অস্ত্রোপচার করবে ওই বিশ্ববিদ্যালয়।
বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য পূর্ণেন্দু বিশ্বাস জানান, শহরের সব জায়গায়ই রাস্তার কুকুরের উপদ্রব বাড়ছে। দক্ষিণ দমদম পুরসভা তাদের এলাকার কুকুরের নির্বীজকরণের কাজ শুরু করেছে। মউ অনুযায়ী নির্বীজকরণের জন্য কুকুর ধরে হাসপাতালে পৌঁছে দেওয়া এবং অস্ত্রোপচারের পরে সেই সব কুকুরকে তাদের এলাকায় ছেড়ে দেওয়া-সবটাই দক্ষিণ দমদম পুরসভাই করবে।
পুর কর্তৃপক্ষ জানান, তাঁদের পুরসভার বিভিন্ন এলাকায় রাস্তার কুকুরের উপদ্রব ইদানিং বেড়েছে। তাই পুরসবার তরফে এই উদ্যোগ।
দক্ষিণ দমদম পুরসভা জানাচ্ছে, ২০১১-এর শেষ সুমারি অনুযায়ী ওই এলাকায় রাস্তার কুকুরের সংখ্যা ছিল ১৬০০। ছ’বছর পরে সেই সংখ্যা আরও বেড়েছে বলেই মনে করছে পুরসভা। চেয়ারম্যান পারিষদ (স্বাস্থ্য) গোপা পাণ্ডে জানান, বেসরকারি ভাবে নির্বীজকরণের কাজ করার খরচ বিস্তর। প্রাণী ও মৎস্যবিজ্ঞান বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে মউ সই হওয়াতে কাজটা পুরসভার কাছে অনেকটাই সহজ হয়ে গিয়েছে। নির্বীজকরণের জন্য কুকুর ধরার খাঁচাও কিনেছে পুরসভা। সেই সঙ্গে পুরসভা এই প্রকল্পের জন্য কুকুর ধরার প্রশিক্ষণ প্রাপ্ত লোক নিয়োগ করছে বলে জানান গোপাদেবী। অস্ত্রোপচারের জন্য কুকুর পিছু দুই থেকে আড়াই হাজার টাকা পুরসভার খরচ হবে বলে জানিয়েছেন দক্ষিণ দমদম পুর কর্তৃপক্ষ।
পশ্চিমবঙ্গ প্রাণী ও মৎস্যবিজ্ঞান বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে খবর, এক সপ্তাহ আগে এই প্রকল্প শুরু হয়েছে। ইতিমধ্যেই ২০টি কুকুরের অস্ত্রোপচার করা হয়ে গিয়েছে।