Dengue

‘অসুর’ যখন ডেঙ্গি, উৎসবের মঞ্চ মশামুক্ত হবে কী ভাবে, চিন্তায় সল্টলেকের পুজো কমিটি

পুজোর মরসুমে ডেঙ্গির প্রকোপ বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা তৈরি হচ্ছে বিধাননগরে। বিশেষত, সল্টলেকের পুজোগুলির ক্ষেত্রে এই বিষয়টি চিন্তা বাড়াচ্ছে উদ্যোক্তা এবং পুরসভার মশা নিয়ন্ত্রণ দলের।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ০৬ অক্টোবর ২০২৩ ০৭:১৩
Share:

মণ্ডপে জমে রয়েছে জল। —ফাইল চিত্র।

প্রতিমা বসানোর মঞ্চ তো আছেই। তার সঙ্গে রয়েছে নানা ধরনের সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের মঞ্চও।

Advertisement

পুজোর মরসুমে এই নানা ধরনের মঞ্চ ঘিরে ডেঙ্গির প্রকোপ বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা তৈরি হচ্ছে বিধাননগরে। বিশেষত, সল্টলেকের পুজোগুলির ক্ষেত্রে এই বিষয়টি চিন্তা বাড়াচ্ছে উদ্যোক্তা এবং পুরসভার মশা নিয়ন্ত্রণ দলের। তার কারণ, সেখানে অধিকাংশ পুজো হয় ব্লকের পার্কের মাঠে। বৃষ্টির জন্য কাদা এড়াতে বহু পুজো মণ্ডপের সামনে কাঠের পাটাতন পেতে দেওয়া হয়। সেই পাটাতনের আড়ালেই মশা বংশবিস্তার করতে পারে বলে আশঙ্কা করছেন পুর আধিকারিকেরা।

পাশাপাশি, প্রতিমা বসানোর জন্য মঞ্চ মজবুত করতে বাঁশ ও লোহার খাঁচার সাহায্যে কাঠামো তৈরি করে কাঠের তক্তা পাতা হয়। প্রতিমার সামনে মঞ্চ বানিয়ে পুজোর দিনগুলিতে চলে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। কিন্তু সেই কাঠামো এতটাই সঙ্কীর্ণ যে, তার ভিতরে কেউ ঢুকতে পারেন না। সেই জায়গায় ঢুকে কী ভাবে মশা মারার ওষুধ দেওয়া সম্ভব, তা নিয়ে উদ্বিগ্ন সকলে।

Advertisement

বিধাননগর পুর এলাকার প্রায় একশোটি পুজো কমিটিকে নিয়ে বৃহস্পতিবার ডেঙ্গি মোকাবিলার বৈঠক করেন পুর কর্তৃপক্ষ। সেখানে উৎসবের দিনগুলিতে মশাবাহিত এই রোগ নিয়ন্ত্রণে রাখতে উদ্যোক্তাদের কী করণীয়, তা জানানো হয়েছে। বিশেষত, মণ্ডপের চারদিক যাতে অপরিচ্ছন্ন না থাকে, সে ব্যাপারে বাড়তি সতর্ক করা হয়েছে তাঁদের। পুরসভার অভিযোগ, এই মুহূর্তে মণ্ডপ তৈরির কাজ চলায় বাঁশের টুকরো-সহ বিভিন্ন সামগ্রী তল্লাটে পড়ে থাকায় ডেঙ্গির অনুকূল পরিবেশ তৈরি হয়েছে। এক পুজো উদ্যোক্তার কথায়, ‘‘মঞ্চ তো বাঁধতে হবেই। সেগুলি সুন্দর কাপড় দিয়ে ঘিরেও রাখতে হবে। আবার, মঞ্চের নীচে কোনও মানুষের ঢোকা সম্ভব নয় বলে মশাও ঢুকতে পারবে না, তা তো নয়। সব মিলিয়ে জটিল পরিস্থিতি।’’

চলতি মরসুমে বিধাননগরে ডেঙ্গি আক্রান্তের সংখ্যা ইতিমধ্যেই দু’হাজার ছাড়িয়েছে। মৃত্যু হয়েছে দু’জনের। মেয়র পারিষদ (স্বাস্থ্য) বাণীব্রত বন্দ্যোপাধ্যায় জানান, এমনিতে যন্ত্রের সাহায্যে সাত-আট ফুট দূরত্বে মশার তেল দেওয়া যায়। কোভিডের সময়ে জীবাণুমুক্ত করার কাজে ব্যবহৃত জেট মেশিনগুলি এ ক্ষেত্রে কাজে লাগানো যায় কি না, তা নিয়েও চিন্তাভাবনা চলছে। যদিও বিভিন্ন ওয়ার্ডে থাকা জেট মেশিনগুলির কার্যক্ষমতা কতটা রয়েছে, তা নিয়েও সন্দিহান অনেকে। পুরসভার এক কর্তার কথায়, ‘‘জেট মেশিনগুলি বহু দিন ধরে ব্যবহার হয়নি। পরিকাঠামো যা-ই থাক,
আমরা আপ্রাণ চেষ্টা করছি ডেঙ্গির মোকাবিলা করতে।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন