পুজো শেষ, তবু হোর্ডিং রয়েই গিয়েছে রাজপথে

বিভিন্ন প্রান্তে রাস্তা আটকে যে সব মণ্ডপ তৈরি হয়েছে, সেগুলির অধিকাংশই রয়ে গিয়েছে নিজ নিজ জায়গায়। যদিও পুজো কমিটিগুলির সঙ্গে বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রী অনূর্ধ্ব-১৭ বিশ্বকাপ শুরুর আগেই ওই হোর্ডিং-ব্যানার খুলে ফেলার নির্দেশ দিয়েছিলেন।

Advertisement

শিবাজী দে সরকার

শেষ আপডেট: ০৫ অক্টোবর ২০১৭ ০০:৪৭
Share:

স্বমহিমায়: খোলা হয়নি হোর্ডিং। বুধবার, বিধান সরণিতে। নিজস্ব চিত্র

ভাসান-পর্ব শেষ। কিন্তু কলকাতা শহর এখনও পুজোর হোর্ডিং-ব্যানারের জঙ্গল মুক্ত হলো না। বিভিন্ন প্রান্তে রাস্তা আটকে যে সব মণ্ডপ তৈরি হয়েছে, সেগুলির অধিকাংশই রয়ে গিয়েছে নিজ নিজ জায়গায়। যদিও পুজো কমিটিগুলির সঙ্গে বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রী অনূর্ধ্ব-১৭ বিশ্বকাপ শুরুর আগেই ওই হোর্ডিং-ব্যানার খুলে ফেলার নির্দেশ দিয়েছিলেন।

Advertisement

আগামী কাল, শুক্রবার বিশ্বকাপের ফুটবলের উদ্বোধন। আজ, বৃহস্পতিবারের মধ্যে শহর পরিষ্কারের নির্দেশ দিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। কিন্তু বুধবার দেখা গেল হাতিবাগান, রবীন্দ্র সরণি, সি আর অ্যাভিনিউ, ভবানীপুর, রাসবিহারী অ্যাভিনিউয়ে পুজোর বিজ্ঞাপন স্বমহিমায় জ্বলজ্বল করছে। রাস্তা আটকে যে সব মণ্ডপ হয়েছিল, তাদের অনেকগুলির কাপড়ই খোলা হয়নি। কয়েকটিতে মঙ্গলবার পর্যন্ত প্রতিমা থাকায় কাজ শুরুই করা যায়নি।

তবে মেয়র পারিষদ দেবাশিস কুমার জানিয়েছেন, শুক্রবার সকালের আগে সব হোর্ডিং-ব্যানার খুলে নেওয়া হবে। বিশ্বকাপের জন্য ইতিমধ্যেই শহরে আসতে শুরু করেছে বিদেশি দলগুলি। অনেকেই এসেছে ভিআইপি রোড ধরে, দু’ধারে হোর্ডিং দেখতে দেখতে। ভিআইপি রোডে পুজোর বিজ্ঞাপনের ব্যানার-হোর্ডিং খুলে নিলেও বাঁশের খাঁচা রয়ে গিয়েছে।

Advertisement

কেন বুধবারও মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশ কার্যকর হলো না? পুজো উদ্যোক্তারা জানিয়েছেন, তড়িঘড়ি মণ্ডপ খুলে ফেলার কাজ শুরু হয়েছে। কিন্তু তা খুলতে কিছুটা সময় দরকার। মঙ্গলবার পর্যন্ত বিভিন্ন মণ্ডপে ঠাকুর ছিল। অন্য দিকে, ব্যানার ও হোর্ডিং খোলার জন্য পুলিশের তরফে বিভিন্ন পুজো কমিটি এবং ব্যবসায়িক সংগঠনের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়েছে। দ্রুত ওই কাজ শুরু হবে বলে তাঁরা আশ্বাস দিয়েছেন।

পুজো উপলক্ষে গোটা শহর ছেয়ে গিয়েছিল ব্যানার-হোর্ডিংয়ে। পণ্যের বিজ্ঞাপনের পাশাপাশি মুখ্যমন্ত্রীর ছবি সম্মিলিত সরকারি ব্যানার ও হোর্ডিং লাগানো রয়েছে। শহরের আমজনতার অভিজ্ঞতা, অন্য বার পুজো শেষ হয়ে যাওয়ার পরেও মণ্ডপ খোলা হয় না। রাস্তা আটকে থেকে যায় বাঁশের মণ্ডপ। খোলা হলেও রাস্তার ধারে ডাঁই হয়ে পড়ে থাকে ফ্লেক্স, ব্যানার, হোর্ডিং। কিন্তু এ বার শহরে অনূর্ধ্ব-১৭ ফুটবল বিশ্বকাপ। তাই মুখ্যমন্ত্রীর আবেদনের পরে সকলে আশা করেছিলেন, ব্যানার ও হোর্ডিং খুলে সাফসুতরো করা হবে শহরের চিত্র। কিন্তু আদতে তা হবে কি না, তা নিয়ে সংশয় থেকেই গেল।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন