নিজস্ব চিত্র।
মাঝেরহাটে সেতু ভাঙার জেরে গুরুত্ব বেড়েছে বন্দরের বিভিন্ন রাস্তার। ওই সব রাস্তা দিয়ে চলাচল করছে বেহালা-ঠাকুরপুকুরের
যাত্রীবাহী বাস, গাড়ি। পুলিশের অনুমান, পুজোর দিনগুলি বন্দরের ওই রাস্তা দিয়ে সারারাত দর্শনার্থীদের গাড়িও চলবে। নিরাপত্তার কথা মাথায় রেখে তাই বন্দরের ওই রাস্তায় পুলিশ কিয়স্ক বসানোর সিদ্ধান্ত নিল লালবাজার।
পুলিশ সূত্রের খবর, হাইড রোড এবং রিমাউন্ট রোডে ওই পুলিশ কিয়স্ক বসানো হবে। সেখানে সব সময়েই পুলিশকর্মীরা থাকবেন। সেই সঙ্গে তারাতলা রোড, হাইড রোড, রিমাউন্ট রোড, হবোকেন রোডের মতো অপেক্ষাকৃত নির্জন রাস্তায় টহল দেবেন অতিরিক্ত পুলিশকর্মী। পুজোর সময়ে এ ভাবেই শহরের ট্র্যাফিক ব্যবস্থা স্বাভাবিক রাখার পরিকল্পনা করতে বৃহস্পতিবার লালবাজারে বৈঠকে বসেছিলেন কলকাতা ট্র্যাফিক পুলিশের আধিকারিকেরা। সঙ্গে ছিলেন কলকাতা পুলিশের শীর্ষকর্তারাও। সেখানেই গার্ডের আধিকারিকদের কাছে পুলিশকর্তারা জানতে চান, কী কী ব্যবস্থা গ্রহণ করলে পুজোর সময়ে শহরের যান চলাচল ব্যবস্থা স্বাভাবিক থাকবে?
লালবাজার সূত্রের খবর, ওই বৈঠকেই বন্দরের রাস্তার নিরাপত্তার বিষয়টি নিয়ে আলোচনা হয়। তাতেই কর্তারা সেখানে দু’টি অতিরিক্ত পুলিশ কিয়স্ক তৈরির কথা জানান। সঙ্গে বেশি সংখ্যক পুলিশ টহল দেবে বলেও জানানো হয়। এরই পাশাপাশি, পুজোর আগেই আলিপুর অ্যাভিনিউ এবং হুমায়ুন কবীর সরণির মধ্যে নতুন রাস্তা চালু হয়ে যাবে। ওই রাস্তার নিরাপত্তা বজায় রাখার জন্য সেখানে সিসিটিভি বসানোর কথা বলা হয়েছে। মাঝেরহাটের সেতু বিপর্যয়ের পরেই বেহালা-ঠাকুরপুকুরের বাস-মিনিবাস বেশির ভাগ সময়ে বন্দরের তারাতলা রোড, হাইড রোড, রিমাউন্ট রোড দিয়ে চালানো হচ্ছে। আবার ছোট গাড়ি নিউ আলিপুর দিয়ে পাঠানো হলে চেতলা-আলিপুরে ব্যাপক যানজটের আশঙ্কা রয়েছে। সেই শঙ্কা থেকেই লালবাজারের কর্তারা বারবার বৈঠকে বসছেন সমস্যার সুরহা করতে। এ দিনও সেই সুরহার লক্ষ্যে প্রাথমিক ভাবে লালবাজারে বৈঠক বসেছিলেন কর্তারা।
এর পরে কলকাতা পুলিশের এক কর্তা বলেন, ‘‘পুজোর সময়ে কী করলে ট্র্যাফিক ব্যবস্থা স্বাভাবিক থাকবে, তার জন্য ট্র্যাফিক গার্ডের আধিকারিকদের কাছে প্রস্তাব চাওয়া হয়েছে।’’
পুজোর সময়ে নিউ আলিপুর, আলিপুর, চেতলা, হরিদেবপুর এবং বেহালার ট্র্যাফিক স্বাভাবিক রাখতে কিছু দিন আগে ওই সব এলাকার থানা এবং ট্র্যাফিক
গার্ডের সঙ্গে বৈঠক বসেছিলেন পুলিশকর্তারা। সেখানে উৎসবের সময়ে অবস্থা যাতে আরও খারাপ না হয়, এলাকার পুজো উদ্যোক্তাদের সঙ্গে তা নিয়ে আলোচনা করতে বলা হয়েছিল।