Kolkata East West Metro

পশ্চিমমুখী সুড়ঙ্গের কাজ এগোলেও চিন্তায় ইস্ট-ওয়েস্ট

গত বছরের ১১ মে কাজে হাত দেওয়ার পরে আচমকা বিপর্যয়ের মুখে পড়তে হয়েছিল মেট্রোকে। দুর্গা পিতুরি লেনের দিক থেকে আচমকা জল বেরিয়ে আসা রুখতে সুড়ঙ্গের মেঝে ঢালাই করার কাজ বন্ধ করা হয়।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ০২ মার্চ ২০২৩ ০৫:৪৪
Share:

বৌবাজারের ‘ফাঁড়া’ কাটিয়ে পশ্চিমমুখী সুড়ঙ্গের কাজ শেষ করার আশা দেখছেন ইস্ট-ওয়েস্ট মেট্রো কর্তৃপক্ষ। ফাইল ছবি।

গত তিন বছরে কাজ এগোয়নি বিশেষ। অবশেষে বৌবাজারের ‘ফাঁড়া’ কাটিয়ে পশ্চিমমুখী সুড়ঙ্গের কাজ শেষ করার আশা দেখছেন ইস্ট-ওয়েস্ট মেট্রো কর্তৃপক্ষ।

Advertisement

গত বছরের ১১ মে ওই কাজে হাত দেওয়ার পরে আচমকা বিপর্যয়ের মুখে পড়তে হয়েছিল মেট্রোকে। দুর্গা পিতুরি লেনের দিক থেকে আচমকা জল বেরিয়ে আসা রুখতে সুড়ঙ্গের মেঝে ঢালাই করার কাজ বন্ধ করা হয়। তড়িঘড়ি ওই অংশে কংক্রিটের স্তূপও তৈরি করে ফেলা হয়। সম্প্রতি পরিস্থিতি অনুকূল হওয়ায় সেই স্তূপ সরিয়ে পশ্চিমমুখী সুড়ঙ্গের মেঝে ঢালাই করার কাজ শুরু করেছেন মেট্রো কর্তৃপক্ষ। ঢালাইয়ের কাজ শেষ হলে বৌবাজারে টানেল বোরিং মেশিন বার করার চৌবাচ্চার মধ্যে ৯ মিটার অংশে সুড়ঙ্গ নির্মাণের কাজ শুরু করা সম্ভব হবে।নির্বিঘ্নে ওই কাজ মিটলে শিয়ালদহ থেকে এসপ্লানেড পর্যন্ত অংশে ইস্ট-ওয়েস্টের পশ্চিমমুখী সুড়ঙ্গ পুরোপুরি জুড়ে যাবে।

তবে, এর মধ্যেও মেট্রো কর্তৃপক্ষকে উদ্বেগে রাখছে একাধিক সমস্যা। শিয়ালদহ থেকে এসপ্লানেডের মধ্যে পাতালপথে আপৎকালীন পরিস্থিতিতে যাত্রী উদ্ধারে পূর্ব এবং পশ্চিমমুখী সুড়ঙ্গে মোট আটটি সংযোগকারী পথ তৈরির কথা ছিল। তার মধ্যে বৌবাজার থেকে শিয়ালদহের মধ্যে তিনটি সংযোগকারী পথ তৈরি করার কথা।

Advertisement

গত অক্টোবরে মদন দত্ত লেনে বিপর্যয়ের পরে ওই তিনটি পথ আর তৈরি করা সম্ভব নয় বলে জানিয়ে দিয়েছে সুড়ঙ্গ নির্মাণের দায়িত্বপ্রাপ্ত ঠিকাদার সংস্থাটি। বৌবাজারের নরম মাটির মধ্যে চার থেকে আট মিটার পর্যন্ত দীর্ঘ ওই সব সংযোগকারী সুড়ঙ্গ তৈরি করার ঝুঁকি কোনও ভাবেই আর নেওয়া সম্ভব নয় বলে জানিয়েছে নির্মাণ সংস্থাটি। ফলে, সুরক্ষার শর্ত পূরণ করতে এর বিকল্পের কথা ভাবতে হচ্ছে মেট্রো কর্তৃপক্ষকে। সে ক্ষেত্রে বিকল্পের সন্ধানে বৌবাজারের ধস কবলিত এলাকায় বিশেষ পথ তৈরি করা হতে পারে। জোড়া টানেল বোরিং মেশিন উদ্ধারে চৌবাচ্চার কাছাকাছি ওই পথ মাটির উপর থেকে তৈরি করার কথাও ভাবা হচ্ছে। যাতে ট্রেন চলাকালীন সুড়ঙ্গে কোনও বিপত্তি হলে যাত্রীদের দ্রুত বাইরে বার করে আনা সম্ভব হয়।

তবে, এ নিয়ে এখনও সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত না হলেও এই পরিকল্পনা নিয়ে ইতিমধ্যেই ভাবনাচিন্তা শুরু করেছেন কর্তৃপক্ষ। চলতি বছরের মধ্যে পুরো পথে ইস্ট-ওয়েস্ট মেট্রো চালু করার লক্ষ্যমাত্রার কথা জানিয়েছেন কর্তারা। তাই নির্বিঘ্নে কাজ সম্পূর্ণ করার চাপ বাড়ছে তাঁদের উপরে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন