আগামী কাল, বুধবার পুরসভার সাপ্তাহিক মেয়র পরিষদ বৈঠক। নিবার্চনী আচরণবিধির কারণে ওই বৈঠক করা যাবে কি? সোমবার দিনভর তা নিয়ে চর্চা শুরু হয় অফিসার মহলে। কী করবেন, তা নিয়ে অস্বস্তিতে পড়েন তাঁরা।
আসলে এ বার ‘মডেল কোড অফ কন্ডাক্ট’ মেনে চলা নিয়ে কড়া পদক্ষেপ করছে নিবার্চন কমিশন। তাই কোনও কিছু সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষেত্রে তা আচরণবিধির আওতায় পড়ছে কি না, তা নিয়ে আগেভাগেই নির্দেশিকা খুলে দেখে নিচ্ছেন অফিসারেরা। পুরবোর্ডের কর্তাদের মতে, মেয়র পরিষদ বৈঠক তো রুটিন। তাই ওই বৈঠক করা যেতেই পারে। কিন্তু মেয়র পরিষদ বৈঠকের মতো রুটিন বৈঠকের ক্ষেত্রে কোনও বাধা রয়েছে কি না, তা দেখতে গিয়েই অফিসারদের নজরে পড়ে, ২০১৯ সালের কোড অফ কন্ডাক্ট বইয়ের ২৫৭ পাতায় বলা হয়েছে, ‘রুটিন মিটিং অফ দি লোকাল বডিস, হোয়েন এসেনসিয়েল, মে বি হেল্ড উইথ দি প্রায়োর পারমিশন অফ দি ডিস্ট্রিক্ট ইলেকশন অফিসার অফ দি কনসার্ন ডিস্ট্রিক্ট’। অর্থাৎ নিবার্চন বিধি মানতে হলে অন্য বারের মত এখন আর পুর প্রশাসন নিজেদের সিদ্ধান্ত ওই বৈঠক করতে পারবে না। সংশ্লিষ্ট জেলা নিবার্চন আধিকারিকের অনুমতি নিতে হবে।
পুরসভা সূত্রের খবর, ওই নির্দেশ দেখার পর শুরু হয় অন্য সমস্যা। কারণ কলকাতা পুর এলাকা উত্তর কলকাতা, দক্ষিণ কলকাতা এবং দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলা প্রশাসন জুড়েই। সেক্ষেত্রে ওই তিনটি জেলা নির্বাচন আধিকারিকের কাছে অনুমতি নিতে হবে? পরে পুরসভার পক্ষ থেকে রাজ্য নির্বাচন অফিসে যোগাযোগ করা হয়। বলা হয়, পুর এলাকায় জল সরবরাহ থেকে জঞ্জাল অপসারণ, নিকাশি নালা পরিষ্কারের কাজ পরিষেবার ক্ষেত্রে জরুরি। কিছু কিছু ক্ষেত্রে মেয়র পারিষদ বৈঠকে তা অনুমোদন করে নিতে হয়। নির্বাচন আচরণ বিধিতে তা আটকে গেলে পুর পরিষেবা ব্যাহত হবে।
দিল্লি দখলের লড়াই, লোকসভা নির্বাচন ২০১৯
তার পরেই নিবার্চন অফিস থেকে জানিয়ে দেওয়া হয়, অনুমতি নিয়ে তা করা যেতে পারে। তবে কোনও নতুন প্রকল্পের অনুমোদন দেওয়া যাবে না। তা জেনে স্বস্তি পান পুর অফিসারেরা। পরে মেয়র ফিরহাদ হাকিম বলেন, ‘‘পুর প্রশাসন নির্বাচন বিধি মেনেই কাজ করছে।’’