ফিডার বক্সে চোরের হানা সল্টলেকে

সামান্য অসতর্ক হলেই বেঘোরে প্রাণ যেতে পারে। অঘটন ঘটতে পারে আরও অনেক কিছু। কিন্তু তাতে কী! দিনে-দুপুরে-রাতে সল্টলেকের বিভিন্ন পাড়ায় বিদ্যুতের ফিডার বক্সগুলি থেকে উধাও হয়ে যাচ্ছে পিতলের যন্ত্রাংশ।

Advertisement

পিনাকী বন্দ্যোপাধ্যায়

শেষ আপডেট: ২৮ এপ্রিল ২০১৭ ০১:৩৫
Share:

উধাও: এ ভাবেই চুরি গিয়েছে ফিডার বক্সের যন্ত্রাংশ। নিজস্ব চিত্র

সামান্য অসতর্ক হলেই বেঘোরে প্রাণ যেতে পারে। অঘটন ঘটতে পারে আরও অনেক কিছু। কিন্তু তাতে কী! দিনে-দুপুরে-রাতে সল্টলেকের বিভিন্ন পাড়ায় বিদ্যুতের ফিডার বক্সগুলি থেকে উধাও হয়ে যাচ্ছে পিতলের যন্ত্রাংশ।

Advertisement

আর তার জেরে এই তীব্র গরমে বার বার বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যাচ্ছে বিভিন্ন ব্লকে। ভোগান্তি হচ্ছে সাধারণ মানুষকে। ৪৪০ ভোল্টকেও ‘বুড়ো আঙুল’ দেখিয়ে প্রশিক্ষিত চোরেরা সল্টলেকের পাড়ায়-পাড়ায় এমন দাপাদাপি শুরু করেছে যে নাজেহাল অবস্থা বিদ্যুৎ-কর্মীদের।

এই ফিডার বক্স বা জাংশন বক্সের মাধ্যমেই বাড়ি বাড়ি বিদ্যুৎ পরিষেবা দেওয়া হয়। এই বক্সের ভিতরেই বড় বড় ফিউজ-সহ নানা ধরনের যন্ত্রাংশ থাকে। তার মধ্যেই ‘কাট-আউট’ বলে একটি পিতলের অংশও থাকে। চোরেদের নজর পড়েছে ওই পিতলের যন্ত্রাংশটির উপরেই। ফিউজ তো খুলে নেওয়া হচ্ছেই। চিনামাটির দামি ফিউজও কালোবাজারে বিক্রি করে দেওয়া হচ্ছে। আবার ফিডার বক্সের পিতলের অংশটির দামও ভাল। ফলে সল্টলেকের বিভিন্ন অঞ্চলে চুরির বহর বেড়েই চলেছে।

Advertisement

বিধাননগর থানায় এই চুরির ঘটনাগুলিকে কেন্দ্র করে পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য বিদ্যুৎ বণ্টন সংস্থার পক্ষ থেকে বেশ কয়েকটি অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। চোরেরা অবশ্য এখনও ধরা পড়েনি বলেই বিদ্যুৎ-কর্মীদের একাংশ জানাচ্ছেন।

সল্টলেক অঞ্চলের দায়িত্বে থাকা বণ্টন সংস্থার এক বিদ্যুৎ আধিকারিকের কথায়, মিটার থেকে বিদ্যুৎ চুরি করে আলো-ফ্যান-টিভি চালায় এমন বহু চোর তাঁরা সল্টলেকের অনেক এলাকা থেকেই ধরেছেন। কিন্তু ফিডার বক্স থেকে যন্ত্রাংশ চুরি করে নিয়ে চলে যাচ্ছে— এ এক নতুন বিপদ বলেই জানাচ্ছেন তিনি। ওই আধিকারিকেক কথায়, সল্টলেকের মানুষকে পরিষেবা দেওয়ার জন্য বিদ্যুতের কোনও অভাব নেই। বিদ্যুৎ পরিষেবা দেওয়ার পরিকাঠামোও ঠিক রয়েছে। কিন্তু ‘পিতল চোরদের’ দাপটে মাঝেমধ্যেই বিভিন্ন পাড়ায় হঠাৎ আলো চলে যাচ্ছে। নতুন করে আবার ফিডার বক্স ঠিক করার পরেই বিদ্যুৎ পরিষেবা স্বাভাবিক হচ্ছে বলে ওই আধিকারিকের দাবি। গত কয়েক মাসে সল্টলেকের বিভিন্ন অঞ্চলে এ রকম প্রায় ১০-১২টি চুরির ঘটনা ঘটেছে বলেই জানাচ্ছেন বিদ্যুৎ-কর্মীরা।

তা হলে উপায়?

কড়া কোনও দাওয়াই খুঁজে পাচ্ছেন না বিদ্যুৎ-কর্মীরা। ফিডার বক্সগুলিকে এখন পিতল চোরদের হাত থেকে বাঁচাতে সল্টলেকের মানুষকেই সজাগ হওয়ার কথা বলা হচ্ছে। যাতে সন্দেহজনক কিছু দেখলেই বণ্টন সংস্থার অফিসে খবর দেওয়া হয়।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন