বিধাননগরে চলন্ত বাসে তরুণীর ইভটিজিং, গ্রেফতার অভিযুক্ত

এ বার খাস কলকাতার বুকে চলন্ত বাসে তরুণীর ইভটিজিং। প্রশ্নের মুখে শহরের মহিলাদের নিরাপত্তা। মঙ্গলবার সন্ধ্যার ঘটনা। সল্টলেকের তথ্যপ্রযুক্তি সংস্থায় কর্মরত এক তরুণীকে নিউ টাউন-গড়িয়াগামী বাসে ইভটিজিংয়ের শিকার হতে হয় বলে অভিযোগ।

Advertisement

নিজস্ব প্রতিবেদন

শেষ আপডেট: ১৫ ডিসেম্বর ২০১৫ ১৯:৪৪
Share:

এ বার খাস কলকাতার বুকে চলন্ত বাসে তরুণীর ইভটিজিং। প্রশ্নের মুখে শহরের মহিলাদের নিরাপত্তা। মঙ্গলবার সন্ধ্যার ঘটনা। সল্টলেকের তথ্যপ্রযুক্তি সংস্থায় কর্মরত এক তরুণীকে নিউ টাউন-গড়িয়াগামী বাসে ইভটিজিংয়ের শিকার হতে হয় বলে অভিযোগ। এ দিন সন্ধ্যাতেই ঘটনায় অভিযুক্ত এক যুবককে গ্রেফতার করেছে বিধাননগর থানার পুলিশ। পাশাপাশি, আরও দুই অভিযুক্তকে আটক করা হয়েছে বলে পুলিশ সূত্রের খবর।

Advertisement

পুলিশ জানিয়েছে, ধৃত যুবকের নাম মিথিলেশ কুমার। সে ভারতীয় বায়ুসেনার কর্মরত বাস্কেটবল খেলোয়াড়। উত্তরপ্রদেশের ইলাহাবাদ ইউনিটের ২৯ নম্বর উইংয়ের সদস্য মিথিলেশ তার টিমের সঙ্গে এ দিন নিউটাউন-রাজারহাটের ইকো পার্কে বেড়াতে গিয়েছিল বলে জানা গিয়েছে। সেখান থেকে ফেরার পথে গড়িয়াগামী বাসে ওঠে সে।

ঠিক কী হয়েছিল এ দিন?

Advertisement

সল্টলেকে নিজের অফিস থেকে বেড়িয়ে পৌনে ৫টা নাগাদ বাসে ওঠেন ওই তরুণী। পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, গড়িয়া থেকে ওই বাসে ওঠে মিথিলেশ-সহ তার সঙ্গীরা। ওই তরুণীর অভিযোগ, বাসের অন্য মহিলাদের ক্রমাগত গালিগালাজ করতে থাকে মিথিলেশ। শুধু তা-ই নয়, তাঁদের উদ্দেশে অশ্লীল অঙ্গভঙ্গি করে সে। বাদ পড়েননি ওই তরুণীও। তাঁকে লক্ষ্য করেও অশ্লীল কথাবার্তা ও কুশ্রী অঙ্গভঙ্গি করা হয়। পরিস্থিতি বেগতিক দেখে ৫টা নাগাদ নিজের মোবাইল থেকে ১০০ ডায়াল করেন তরুণী। বাসটি তখন বিধাননগর দিয়ে যাচ্ছিল। খবর যায় সেই থানায়। মিনিট দশেকের মধ্যে ওই এলাকা থেকে পুলিশকর্মীরা পৌঁছে যায় বাসটির কাছে। বাস থেকে মিথিলেশ-সহ তিন যুবককে আটক করে থানায় নিয়ে আসেন তাঁরা। জিজ্ঞাসাবাদের পর মিথিলেশকে গ্রেফতার করে পুলিশ।

ওই তরুণীর দাবি, “ওই যুবকটি বাস উঠেই মহিলাদের অশ্রাব্য ভাষায় গালিগালাজ করছিল। এমনকী, আমাকে লক্ষ্য করেও অশ্লীল গালিগালাজ ও অঙ্গভঙ্গি করে। প্রতিবাদ তো দূরের কথা, ওকে থামাতে কেউ এগিয়ে আসেননি।”

এ শহরে মহিলাদের নিরাপত্তা নিয়ে পুলিশ-প্রশাসনের ভূমিকায় এর আগেও প্রশ্ন উঠেছে। কিন্তু, তাতে যে পরিস্থিতির বিন্দুমাত্র পরিবর্তন হয়নি, এ দিনের ঘটনাই তার প্রমাণ।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement
Advertisement