Behala

বৃষ্টির জল নামলেও মশাবাহিত রোগের আতঙ্ক বাড়ছে বেহালায়

বেহালার ১২৩ ও ১২৪ নম্বর ওয়ার্ডের শীলপাড়া, বিদ্যাসাগর পল্লি, বৈশালী পার্ক, ঢালিপাড়া, গোপাল কলোনি, মতিলাল গুপ্ত রোড, ঠাকুরতলা রোড অল্প বৃষ্টিতেই জলমগ্ন হয়ে পড়ে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ০১ জুলাই ২০২৩ ০৫:১৪
Share:

—প্রতীকী ছবি।

বৃষ্টির জমা জল নেমে গিয়েছে। তবে তৈরি হয়েছে মশাবাহিত রোগের আতঙ্ক। বুধবারের সকালে অল্প ভারী বৃষ্টিতে কলকাতা পুরসভার বেহালা এলাকায় ১২৩ ও ১২৪ নম্বর ওয়ার্ডের বিস্তীর্ণ অংশ বৃহস্পতিবার রাত পর্যন্ত জলে ডুবে ছিল। শুক্রবার সকাল থেকে জল নামলেও আতঙ্কে রয়েছেন এলাকার বাসিন্দারা। তাঁদের অভিযোগ, টানা ৩০ মিনিট বৃষ্টি হলেই ফের জলযন্ত্রণার ছবি ফিরে আসবে। তাঁরা জানান, সেখানকার নর্দমাগুলি খোলা হওয়ায় মশার উৎপাত বাড়ছে। গত বছর শহরে ডেঙ্গি, ম্যালেরিয়ার দাপট ছিল ভালই। এলাকাবাসীরা চলতি বছরে ফের মশাবাহিত রোগ নিয়ে উৎকণ্ঠায় রয়েছেন।

Advertisement

বেহালার ১২৩ ও ১২৪ নম্বর ওয়ার্ডের শীলপাড়া, বিদ্যাসাগর পল্লি, বৈশালী পার্ক, ঢালিপাড়া, গোপাল কলোনি, মতিলাল গুপ্ত রোড, ঠাকুরতলা রোড অল্প বৃষ্টিতেই জলমগ্ন হয়ে পড়ে। বুধবার ভোর থেকে ঘণ্টা চারেকের বৃষ্টিতে দু’দিন ধরে জলমগ্ল ছিল এলাকা। বর্ষার শুরুতেই যদি এই হাল হয়, তা হলে এর পরে কী হবে, তা নিয়ে আতঙ্কে এলাকার বাসিন্দারা। শীলপাড়ার বিদ্যাসাগর কলোনির বাসিন্দা চন্দ্রাণী চক্রবর্তীর অভিযোগ, ‘‘টানা জল জমে থাকায় মশার উৎপাত বাড়ছে। গত বছর রাজ্যের পাশাপাশি এ শহরেও ডেঙ্গিতে অনেকের মৃত্যু হয়েছিল। এ বার সেই ভয়টাও হচ্ছে। পুর প্রশাসনের কাছে আমাদের আর্জি, নিকাশি নালা নিয়মিত পরিষ্কার করে জল জমার যন্ত্রণা থেকে মুক্তি দেওয়া হোক।’’ শীলপাড়ার আর এক বাসিন্দা মিহির দাসের অভিযোগ, ‘‘প্লাস্টিক, আবর্জনায় নিকাশি নালা অবরুদ্ধ হয়ে রয়েছে। আমাদের এখানে খোলা নর্দমা থাকায় মশার উৎপাত খুব। পুরসভা ব্যবস্থা নিক।’’

পুরসভা জানাচ্ছে, নিকাশি নালার কাজ অসমাপ্ত থাকায় সেখানে অল্প বৃষ্টিতেই জল জমে যাচ্ছে। মেয়র পারিষদ (নিকাশি) তারক সিংহ জানিয়েছেন, কেইআইআইপি যাতে বাকি পাইপ বসানোর কাজ দ্রুত শেষ করে, সে বিষয়ে তাদের শীর্ষকর্তাকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। ওই কাজ শেষ হলে জল জমার সমস্যা কমবে বলে পুরসভা দাবি করেছে।

Advertisement
(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন