নিয়ামক নেই, খাতা না-পেয়ে তীব্র ক্ষোভ যাদবপুরে

শনিবার যাদবপুরে ইলেকট্রিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং-সহ বেশ কিছু বিভাগের সিমেস্টার পরীক্ষা ছিল। দেখা যায়, পরীক্ষা নিয়ামক দফতর থেকে খাতা বা উত্তরপত্রই এসে পৌঁছয়নি।

Advertisement

মধুমিতা দত্ত

কলকাতা শেষ আপডেট: ২৭ মে ২০১৯ ০৩:৫২
Share:

—ফাইল চিত্র।

দুর্নীতির অভিযোগ ওঠায় ছুটিতে যেতে হয়েছে পরীক্ষা নিয়ামককে। এই অবস্থায় শীর্ষস্থানীয় বিশ্ববিদ্যালয় যাদবপুরে পরীক্ষা ঘিরে ব্যাপক ক্ষোভ ছড়াল। ক্ষোভের প্রথম ও প্রধান কারণ, উত্তরপত্র নেই। তার উপরে ইন্টারনেট সংযোগ বিঘ্নিত।

Advertisement

শনিবার যাদবপুরে ইলেকট্রিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং-সহ বেশ কিছু বিভাগের সিমেস্টার পরীক্ষা ছিল। দেখা যায়, পরীক্ষা নিয়ামক দফতর থেকে খাতা বা উত্তরপত্রই এসে পৌঁছয়নি। পরীক্ষা নিয়ামকের দফতরে যোগাযোগ করা হলে জানানো হয়, এই বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাপাখানার সঙ্গে যোগাযোগ করতে হবে। কিন্তু শনিবার বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাপাখানা বন্ধ থাকে। এই নিয়ে সংশ্লিষ্ট বিভাগগুলিতে ক্ষোভ ছড়িয়ে পড়ে। কোনও মতে আগে থেকে সঞ্চিত উত্তরপত্র জোগাড় করে পরীক্ষা নেওয়া হয়। রবিবার, ছুটির দিনে বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাপাখানা খুলিয়ে ছাপানো হয় উত্তরপত্র। আজ, সোমবারেও পরীক্ষা আছে।

অন্য দিকে, শনিবার থেকেই বিশ্ববিদ্যালয়ের কলা ও বিজ্ঞান বিভাগে ইন্টারনেট সংযোগ বিঘ্নিত। নিউ পিজি হস্টেলেও নেই ইন্টারনেট সংযোগ। রবিবার ওই সংযোগ চালু করার জন্য দায়িত্বপ্রাপ্ত দুই কর্মী নিউ পিজি হস্টেলে গেলে তাঁদের ঘেরাও করে রাখা হয়। ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের ডিন চিরঞ্জীব ভট্টাচার্য বিশ্ববিদ্যালয়ে ছুটে যান। ছাত্রদের আশ্বাস দিয়ে ওই দুই কর্মীকে ঘেরাও মুক্ত করেন তিনি। দ্রুত ইন্টারনেট সংযোগ মিলবে বলে আশ্বাস দেন। যাদবপুরের মতো বিশ্ববিদ্যালয়ে এই দুই বিপত্তি-বিড়মিবনায় বিস্ময় ছড়িয়েছে।

Advertisement

এপ্রিলে পরীক্ষার ফল সংক্রান্ত দুর্নীতির অভিযোগে যাদবপুরের পরীক্ষা নিয়ামককে ছুটিতে পাঠানো হয়েছে। চলছে তদন্ত। সেই তদন্তের রিপোর্ট পাওয়ার আগে পর্যন্ত

তাঁকে ছুটিতেই থাকার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। অভিযোগ উঠেছিল, পরীক্ষা নিয়ামক টাকা নিয়ে ফল প্রকাশ করছেন। সেই ঘটনার পরে চিরঞ্জীববাবুকে পরীক্ষা নিয়ামকের অতিরিক্ত দায়িত্ব দেওয়া হয়। চিরঞ্জীববাবু বলেন, ‘‘এই দুই সমস্যার সমাধানের চেষ্টা করে যাচ্ছি।’’

শিক্ষকদের অভিযোগ, পূর্ণ সময়ের পরীক্ষা নিয়ামকহীন দফতর যে ঠিক ভাবে কাজ চালাতে পারছেন না, শনিবারের ঘটনাই তার প্রমাণ। পরীক্ষার খাতা না-থাকার বিষয়টি শিক্ষকদের পক্ষ থেকে ইতিমধ্যেই উপাচার্যকে জানানো হয়েছে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন