গান্ধার রাজ্যের মুদ্রা দেখাচ্ছেন সংগ্রাহক অনুপ মিত্র। নিজস্ব চিত্র
রাজ্যপাট চালানোর ক্ষেত্রে নতুন নতুন পরীক্ষা-নিরীক্ষা করতে ভালবাসতেন মহম্মদ বিন তুঘলক। ইতিহাস বলছে, বিন তুঘলক তাঁর রাজ্যের মুদ্রা নিয়েও পরীক্ষা-নিরীক্ষা করেছিলেন। তাঁর রাজত্বে রুপোর মুদ্রার সঙ্গে চালু হয়েছিল তামার মুদ্রাও।
মহম্মদ বিন তুঘলকের সেই তামার মুদ্রা এখন শোভা পাচ্ছে মুদ্রা উৎসবে। বালিগঞ্জ পার্কে আইস স্কেটিং রিঙ্ক-এর কাছে একটি ব্যাঙ্কোয়েট হলে চলছে এই মুদ্রা উৎসব। সেখানে দেশের বিভিন্ন রাজ্য থেকে বিরল সব মুদ্রার সংগ্রহ নিয়ে এসেছেন সংগ্রাহকেরা। বিদেশ থেকেও এসেছেন অনেকে। এই উৎসব চলবে রবিবার পর্যন্ত।
মুদ্রা সংগ্রাহক অনুপ মিত্রের সংগ্রহে রয়েছে খ্রিস্টের জন্মের ৬০০ বছরেরও আগের বিভিন্ন ভারতীয় মুদ্রা। তিনি বলেন, ‘‘ইতিহাস থেকে জানতে পারি, খ্রিস্টের জন্মের ৬০০ বছর আগে ভারতে ছিল ১৬টি জনপদ। প্রতিটিরই আলাদা আলাদা মুদ্রা ছিল। ১৬টি জনপদেরই মুদ্রা রয়েছে আমার সংগ্রহে। এর মধ্যে সব থেকে পুরনো গান্ধার জনপদের মুদ্রা।’’ সেই মুদ্রাও দেখা যাচ্ছে এই মুদ্রা উৎসবে।
অনুপবাবুর পাশেই রয়েছে মুঘল আমলের মুদ্রার সংগ্রহ। মুঘল রাজাদের মধ্যে জাহাঙ্গির চালু করেছিলেন তাঁর স্ত্রী নুরজাহানের ছবি দেওয়া মুদ্রা। রুপোর সেই মুদ্রা দেখতে ভিড় করছেন উৎসাহীরা। মুঘল মুদ্রার পাশেই রয়েছে গুপ্ত যুগের স্বর্ণমুদ্রা। সেই স্বর্ণমুদ্রার সংগ্রাহক উজ্জ্বল সাহা বললেন, ‘‘গুপ্ত যুগের বেশির ভাগ মুদ্রাই সোনার।’’
উদ্যোক্তা সংস্থার তরফে রবিশঙ্কর শর্মা বলেন, ‘‘মহাত্মা গাঁধীর ১৫০তম জন্মদিবস উপলক্ষে এ বারের মুদ্রা উৎসবে তিনিই আমাদের বিশেষ আকর্ষণ। গাঁধীজির ছবি দেওয়া মুদ্রা ও নোটেরও সংগ্রহ রয়েছে এখানে।’’
শুধু মুদ্রাই নয়, এই প্রদর্শনীতে রয়েছে বিভিন্ন দেশের নোটও। ভারতের প্রথম এক হাজার টাকার নোট কেমন ছিল, তা-ও দেখা যাচ্ছে এই উৎসবে।