ফ্যান দিয়ে থেঁতলে খুন মালিককে, ধৃত ১ কর্মী

পুলিশ সূত্রের খবর, শিল্পতালুকের অন্য কারখানাগুলিতে ঝাড়খণ্ডের বাসিন্দা অনেক যুবক কাজ করেন।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ২০ জুলাই ২০১৯ ০১:০৪
Share:

প্রতীকী ছবি।

কাপড় মোড়ার কাঠের পাটা এবং সিলিং ফ্যান দিয়ে মাথা-মুখ থেঁতলে খুন করা হয়েছিল বেলঘরিয়ার কারখানা মালিককে। ওই কারখানার এক কর্মীকে ঝাড়খণ্ড থেকে গ্রেফতারের পরে এমনই তথ্য জেনেছেন তদন্তকারীরা।

Advertisement

গত রবিবার বেলঘরিয়ার ডালমিয়া শিল্পতালুকের ভিতরে একটি বন্ধ কারখানার তালা ভেঙে উদ্ধার হয় মালিক সন্দীপ সাউয়ের রক্তাক্ত দেহ। ঘটনার পর থেকে খোঁজ মিলছিল না কর্মীদেরও। তদন্তে নেমে পুলিশ জানতে পারে, সম্প্রতি কয়েক জন কর্মী সন্দীপের কারখানায় কাজে যোগ দিয়েছিলেন। কিন্তু তাঁদের সময় মতো বেতন না দেওয়া নিয়ে অসন্তোষ তৈরি হয়েছিল। ওই কর্মীদের সম্পর্কে কোনও তথ্য সন্দীপের পরিবারের কাছে ছিল না। পরে খোঁজ নিয়ে জানা যায়, স্থানীয় একটি বাড়িতে ভাড়া থাকত ওই জনা পাঁচেক কর্মী। সকলেই গিরিডির বাসিন্দা।

পুলিশ সূত্রের খবর, শিল্পতালুকের অন্য কারখানাগুলিতে ঝাড়খণ্ডের বাসিন্দা অনেক যুবক কাজ করেন। তাঁদের থেকে সন্দীপের কারখানায় কাজ করা কর্মীদের ঠিকানা জোগাড় করে গিরিডি রওনা দেয় পুলিশ। সেখান থেকে বৃহস্পতিবার গ্রেফতার হয় বিরজু দাস নামে এক কর্মী। তাকে জেরা করে পুলিশ জেনেছে, গত ১৩ জুলাই শনিবার দুপুরে বকেয়া বেতন মেটানো নিয়ে সন্দীপের সঙ্গে কর্মীদের বচসা বাধে। তখন সন্দীপ কয়েক জন কর্মীকে ধাক্কা মেরে বার করে দেওয়ার চেষ্টা করেন। তাতেই ঘটে বিপত্তি। কারখানায় থাকা কাঠের পাটা দিয়ে সন্দীপকে প্রথমে মারা হয়। এর পরে ব্লেড ছাড়া সিলিং ফ্যানের চাকতির মতো অংশটি দিয়ে তাঁর মাথা ও মুখ থেঁতলে দেওয়া হয়। ঘটনার পরে ওই সব জিনিস থেকে রক্ত মুছে সেগুলি কারখানার এক কোণে ফেলে রেখে তালা বন্ধ করে চম্পট দেয় কর্মীরা। খুনে ব্যবহৃত বস্তুগুলি উদ্ধার হয়েছে। বাকি কর্মীদের খোঁজ চালাচ্ছে পুলিশ।

Advertisement

এবার শুধু খবর পড়া নয়, খবর দেখাও।সাবস্ক্রাইব করুনআমাদেরYouTube Channel - এ।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement
Advertisement