প্রতীকী ছবি।
ছ’বছরের ছেলের মস্তিষ্কের মৃত্যু ঘোষণার পরে অঙ্গদান করতে চেয়েছিলেন বাবা। নির্দিষ্ট পরীক্ষার পরে ‘রিজিওনাল অর্গান অ্যান্ড টিস্যু ট্রান্সপ্লান্ট অর্গানাইজেশন’ (রোটো) জানিয়ে দিল, খড়দহের সূর্যপ্রভ চন্দের শরীরের বিভিন্ন অঙ্গের যা অবস্থা তাতে অঙ্গদান সম্ভব নয়। এ জন্য নিউ টাউনের বেসরকারি হাসপাতালের বিরুদ্ধে গাফিলতির অভিযোগ করেছেন সূর্যপ্রভের বাবা সুপ্রিয় চন্দ।
অভিযোগ অস্বীকার করে ওই হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছেন, সূর্যপ্রভ এনসেফ্যালাইটিসে আক্রান্ত হয়েছিল। কলকাতা মেডিক্যাল কলেজের মেডিসিনের চিকিৎসক রাজা ভট্টাচার্য বলেন, ‘‘মস্তিষ্কে এক ধরনের সংক্রমণ হল এনসেফ্যালাইটিস। সাধারণ ভাবে ভাইরাস থেকে এই ধরনের সংক্রমণ হয়ে থাকে।’’
গত বৃহস্পতিবার গলা, হাতে, পায়ে প্রচণ্ড ব্যথা হচ্ছিল সূর্যপ্রভের। প্রবল জ্বরও আসে। শনিবার সকালে শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে পেডিয়াট্রিক ইনটেনসিভ কেয়ার ইউনিটের খোঁজে বিভিন্ন হাসপাতাল ঘুরে নিউ টাউনের ওই হাসপাতালে শিশুটিকে ভর্তি করা হয়। এ দিন সুপ্রিয়বাবু বলেন, ‘‘রাতে চিকিৎসক জানান, ছেলের শ্বাসকষ্ট হচ্ছে। রক্তচাপ কমে মস্তিষ্কের উপরে চাপ পড়ায় আমরা স্নায়ুরোগ চিকিৎসক ডাকতে বলি। কিন্তু সোমবারের আগে সেই ডাক্তার আসেননি।’’
দিল্লি দখলের লড়াই, লোকসভা নির্বাচন ২০১৯
সোমবার রাতে ‘ব্রেন ডেথ’ ঘোষণা করা হলে অঙ্গদানের ইচ্ছা প্রকাশ করে পরিবার। এ দিন ওই হাসপাতালের ভাইস প্রেসিডেন্ট রুমা বন্দ্যোপাধ্যায় জানান, মঙ্গলবার সকালে এসএসকেএমের বিশেষজ্ঞ দল সূর্যপ্রভের রিপোর্ট পরীক্ষা করে অঙ্গদান সম্ভব নয় বলে বিকালে জানিয়ে দিয়েছে। সুপ্রিয়বাবুর অভিযোগ, ‘‘চিকিৎসায় গাফিলতির জন্য ছেলেকে হারালাম। হাসপাতালের গাফিলতির জন্য অঙ্গদান হল না।’’