মেয়েকে যৌন নিগ্রহ করায় বাবার পাঁচ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড এবং ২০ হাজার টাকা জরিমানার নির্দেশ দিল শিয়ালদহ আদালত। অভিযোগ দায়ের হওয়ার ন’দিনের মাথায় অতিরিক্ত জেলা বিচারক জীমূতবাহন বিশ্বাস বুধবার এই নির্দেশ দেন। এ ছাড়া, আসামিকে ২০ হাজার টাকা জরিমানাও করা হয়েছে।
সরকারি কৌঁসুলি বিবেক শর্মা জানান, এন্টালি থানা এলাকার বাসিন্দা মহম্মদ জামিল আখতার তার তেরো বছরের মেয়ে ও পাঁচ বছরের ছেলেকে নিয়ে একটি বস্তিতে থাকে। ফেরিওয়ালা জামিলের স্ত্রী গত সেপ্টেম্বরে মারা গিয়েছেন। জামিল মেয়েকে যৌন নিগ্রহ করে চলতি বছরের ২০ ফেব্রুয়ারি। ১১ মার্চ নিগৃহিতা বালিকার দিদিমা এন্টালি থানায় অভিযোগ জানিয়েছিলেন। এর ন’দিনের মধ্যে বিচারপর্ব শেষ করে অভিযুক্তকে দোষী সাব্যস্ত করার পরে সাজা ঘোষণাও হয়ে গেল। পকসো বা ‘প্রোটেকশন অব চিলড্রেন ফ্রম সেক্সুয়াল অফেন্সেস’ আইনে সাজা হওয়ার ঘটনা এমনিতে তৎপরতার সঙ্গেই ঘটছে। তবে এত দ্রুত সাজা হওয়ার ঘটনা গোটা দেশেই দুর্লভ বলে আইনজ্ঞেরা মনে করছেন।
সরকারি কৌঁসুলির কথায়, ‘‘পরিবারের কেউ অভিযুক্ত হলে পরে চাপের মুখে সাক্ষীরা পিছু হটেন। তাই মামলার দ্রুত নিষ্পত্তি হওয়া জরুরি ছিল।’’ এ যাত্রা নির্যাতিতা মেয়েটি বাবার কাছে ফিরতে চাইছিল না। প্রথমে মুখ খুলতে ইতস্তত করলেও কয়েক দিনের মধ্যেই সে দিদিমাকে সব খুলে বলে। শোনার পরেই দিদিমা থানায় অভিযোগ জানান। সাব ইনস্পেক্টর পুলক বন্দ্যোপাধ্যায় ওই দিনই জামিলকে গ্রেফতার করেন এবং তার ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে আদালতে
‘প্রোটেকশন অব চিলড্রেন ফ্রম সেক্সুয়াল অফেন্সেস’ (পকসো) আইনে চার্জশিটও পেশ করেন। পুলিশ জানায়,
শারীরিক পরীক্ষার সময়ে ডাক্তারের কাছে ও ম্যাজিস্ট্রেটের কাছে গোপন জবানবন্দি দেওয়ার সময় কিশোরী একই বয়ান দেয়। মামলায় দিদিমা-সহ ছ’জন সাক্ষী ছিলেন।