Kolkata Fire

বাগড়ির আগুন নিয়ে দমকলের এফআইআর, ব্যবসায়ীদের সতর্ক করলেন শোভন

এখনও বাগড়ি মার্কেটের আগুন নিয়ন্ত্রণে আসেনি। মঙ্গলবারও কলকাতা পুলিশ কমিশনার রাজীব কুমার নিজে থেকে আগুন নিয়ন্ত্রণের তদারকি করেন।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ১৮ সেপ্টেম্বর ২০১৮ ১৭:৩৬
Share:

নিজস্ব চিত্র

অবশেষে ঘুম ভাঙল কলকাতা পুরসভার। বাগড়ি মার্কেটে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের পর ব্যবসায়ীদের সতর্ক করলেন মেয়র শোভন চট্টোপাধ্যায়।

Advertisement

মঙ্গলবার তিনি বলেন, “নিজের সুবিধার জন্যে দোকানের বাইরে যত্রতত্র মালপত্র আর ফেলে রাখা যাবে না। পুরসভার তরফে যতটুকু জায়গার অনুমোদন রয়েছে। তার বাইরে সামগ্রী রাখা হলে, সেই ব্যবসায়ীর বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা নিতে পিছপা হবে না পুরসভা। অগ্নিনির্বাপন ব্যবস্থাও যথাযথ রাখতে হবে।”

কলকাতা পুরসভা এলাকার সব মার্কেটেই এই নিয়ম কার্যকর করা হবে। বছরভর পুরসভার অধিকারিকেরা নজরদারি চালাবেন। কোথাও কোনও অনিয়ম দেখলেই প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলেও জানিয়েছেন মহানাগরিক।

Advertisement

বাগড়ি মার্কেটের মালিকদের বিরুদ্ধেও অভিযোগ, বিল্ডিং প্ল্যানের বাইরে গিয়েও যেখানে সেখানে দোকান করে ভাড়া দেওয়া হয়েছিল। এই ছ’তলা বহুতলে প্রায় এক হাজার জন ব্যবসায়ীর দোকান রয়েছে। তাঁদের মধ্যে অনেকেই নিজের সীমানার বাইরে মালপত্র মজুত করে রাখতেন। তাই আগুন লাগার পর বহুতলে ঢুকতে দমকল বাধার মুখে পড়েছিল। আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে এখনও বেগ পেতে হচ্ছে।

অগ্নিকাণ্ডের পর ‘বাগড়ি এস্টেট প্রাইভেট লিমিটেড’-এর অন্যতম মালিক রাধা বাগড়ি এবং সিইও কৃষ্ণ কোঠারি ওরফে কাল্লু এখনও নিখোঁজ। তিন দিনের মাথায় শেষ পর্যন্ত বাগড়ি মার্কেটে যথাযথ অগ্নিনির্বাপন ব্যবস্থা না থাকার জন্য অভিযোগ দায়ের করল দমকল। পুলিশ সূত্রে খবর, অভিযোগে রাধা বাগড়ি এবং কৃষ্ণ কোঠারির নামও রয়েছে।

এখনও বাগড়ি মার্কেটের আগুন নিয়ন্ত্রণে আসেনি। মঙ্গলবারও কলকাতা পুলিশ কমিশনার রাজীব কুমার নিজে থেকে আগুন নিয়ন্ত্রণের তদারকি করেন। ছিলেন দমকলের ডিজি জগমোহনও। পুলিশ কর্তাদের আশা, মঙ্গলবারের মধ্যেই আগুন নিয়ন্ত্রণে চলে আসবে। ৬০ ঘণ্টারও বেশি সময় হয়ে গেলেও, এখনও আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে গিয়ে হিমশিম খেতে হচ্ছে পুলিশ, প্রশাসনকে।

বাগড়ি মার্কেটের মতো ভয়াবহ পরিস্থিতি যাতে অন্য কোনও মার্কেটে আর না হয়, সে জন্যেই পুরসভা আরও কড়়া পদক্ষেপ করতে চাইছে। পুরসভার এক অফিসার বলেন, “বড়বাজার, পোস্তা এলাকায় অনেক বহুতল মার্কেট রয়েছে। সব জায়গায় অগ্নিনির্বাপন ব্যবস্থাও ঠিক নেই। ইতিমধ্যেই সেই মার্কেটগুলো চিন্থিতকরণের কাজ শুরু হয়েছে। সেখাকার ব্যবসায়ীদের জানিয়ে দেওয়া হবে, নিজের সীমানার বাইরে যেন মালপত্র মজুত করা না হয়। পরবর্তী ক্ষেত্রে মার্কটগুলোর বাইরে যারা ডালা নিয়ে বসেন, তাঁদেরও নির্দিষ্ট করে জায়গা চিন্থিত করে দেওয়া হবে। শুধু তাই নয়, বিল্ডিং প্ল্যান মেনে মার্কেট তৈরি করতে হবে। অগ্নি নির্বাপন ব্যবস্থার কোনও খামতি থাকলে ট্রেড লাইসেন্স বাতিলও হতে পারে।”

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন