ফের আগুন আতঙ্ক সরকারি হাসপাতালে।
বৃহস্পতিবার সকাল সওয়া দশটা নাগাদ এনআরএস হাসপাতালের শিশু বিভাগের বাইরে হঠাৎ আগুন লেগে যায় বলে দমকল সূত্রে জানা গিয়েছে। সঙ্গে সঙ্গে দমকলের তিনটি ইঞ্জিন এসে আধ ঘণ্টার চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে।
কয়েক সপ্তাহ আগেই ন্যাশনাল মেডিক্যাল কলেজের স্ত্রী-রোগ বিভাগে আগুন লেগেছিল। রোগীদের বিভাগের বাইরে নিয়ে আসা নিয়ে গোলমাল হয়েছিল। প্রশ্ন উঠেছিল সরকারি হাসপাতালের রোগীদের নিরাপত্তা নিয়ে। এ দিন অবশ্য এনআরএস হাসপাতালে বড় কোনও সমস্যা হয়নি।
হাসপাতাল সূত্রে জানা গিয়েছে, এ দিন সকালে সাত তলা ভবনের পাঁচ তলায় শিশু বিভাগের বাইরে লিফটের পাশে একটি সুইচ থেকে ধোঁয়া বেরোতে দেখেন কয়েক জন কর্মী। হুলস্থুল পড়ে যায়। এর পরেই হাসপাতালের তরফে দমকলে খবর পাঠানো হয়। হাসপাতালের এক কর্তা জানিয়েছেন, এ দিন রোগীদের সরিয়ে নিয়ে যাওয়ার দরকার পড়েনি। তবে, পরিস্থিতি জটিল হলে রোগীদের নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নিয়ে যাওয়ার মতো পরিকাঠামো রয়েছে।
প্রাথমিক তদন্তের পরে এক দমকল কর্তা জানান, শর্ট সার্কিট থেকে আগুন লেগেছিল বলে মনে করা হচ্ছে।
এ দিন দ্রুত আগুন নিয়ন্ত্রণে এলেও রোগীরা আতঙ্কিত হয়ে পড়েন। শিশু বিভাগের সামনে আগুন লাগার খবর ছড়িয়ে পড়তেই রোগীর পরিবারের সদস্যরা আতঙ্কিত হয়ে পড়েন। ব্রেন টিউমারের সমস্যা নিয়ে ভর্তি রয়েছে বছর পাঁচেকের তমা মণ্ডল। এ দিন তার বাবা সুভাষ মণ্ডল বলেন, ‘‘ওই ওয়ার্ডে মেয়ে ভর্তি আছে। আগুন লেগেছে জানার পরে খুব আতঙ্কিত হয়ে পড়েছিলাম। যদিও হাসপাতাল কর্মীরা আশ্বস্ত করে বলছিলেন, ওয়ার্ডে কিছু হয়নি। তবুও দুশ্চিন্তা হচ্ছিল।’’ তাপস রায় নামে এক ব্যক্তি বলেন, ‘‘মেয়ে ভর্তি রয়েছে। জলখাবার খেতে গিয়েছিলাম। আগুন লেগেছে শুনে ছুটে চলে এসেছি। ভয়ে হাত-পা ঠাণ্ডা হয়ে যাচ্ছিল।’’
হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছেন, বিভিন্ন বিভাগে ইলেকট্রিক লাইনের কাজ চলছে। সেখান থেকেই হয়তো এই বিপত্তি ঘটেছে। তবে হাসপাতালে মেরামতির কাজ চললেও সব বিভাগের রোগীর নিরাপত্তার দিকে কড়া নজর রয়েছে।