সোনারপুরের সেই কারখানায় আগুন নেভাচ্ছেন দমকলকর্মীরা। রবিবার। —নিজস্ব চিত্র
সকালের নির্দিষ্ট সময়ে শপিং মলটির মাল্টিপ্লেক্সে শুরু হয়েছিল সিনেমা। দোকানপাটও খুলে গিয়েছিল। আস্তে আস্তে বাড়ছিল ভিড়। হঠাৎই ছন্দপতন। আগুন লাগল মলের দোতলায় একটি মোমোর দোকানে। হুড়োহুড়ি পড়ে যায় সিনেমা দেখতে আসা দর্শকদের মধ্যে। শেষমেশ অবশ্য শপিং মলের কর্মীরা নিরাপদে সকলকে বার করে আনেন। বার করে আনা হয় বেসমেন্টে রাখা সব গাড়িও।
রবিবার সকাল ১১টা নাগাদ ঘটনাটি ঘটেছে বারাসতের ডাকবাংলো মোড়ের কাছে একটি শপিং মলে। দমকলের দু’টি ইঞ্জিন ঘণ্টা দু’য়েকের চেষ্টায় আগুন আয়ত্তে আনে। প্রাথমিক ভাবে অনুমান, শর্ট সার্কিট থেকেই এই দুর্ঘটনা। পুলিশ জানিয়েছে, শপিং মলটি কেন্দ্রীয় ভাবে শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত হওয়ায় আগুনের ধোঁয়া ভিতরে জমাট বেঁধে গিয়েছিল।
এর জেরে যান চলাচল নিয়ন্ত্রণ করা হয় ডাকবাংলো মোড় ও ৩৪ নম্বর জাতীয় সড়কে। খবর পেয়ে আসেন বারাসত পুরসভার চেয়ারম্যান সুনীল মুখোপাধ্যায়। দমকলের এক আধিকারিক জানান, ওই দোকানের নিজস্ব অগ্নি-নির্বাপণ ব্যবস্থা ছিল কি না, তা দেখা হচ্ছে।
এ দিনই দুপুরে সোনারপুর থানার গেড়োডাঙায় পুড়ে যায় প্লাস্টিক বর্জ্য বোঝাই একটি কারখানার একাংশ। পুলিশ জানিয়েছে, বাজার থেকে প্লাস্টিক বর্জ্য এনে ওই কারখানায় ধোয়া হত। সেখানে পরপর পাঁচটি শেড। এ দিন আড়াইটে নাগাদ স্থানীয়েরাই কারখানার পিছন থেকে কালো ধোঁয়া বেরোতে দেখে ছুটে আসেন। দমকলের ১০টি ইঞ্জিন এসে দেড় ঘণ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। আগুনের তাপে কারখানা লাগোয়া কয়েকটি বাড়িরও সামান্য ক্ষতি হয়েছে।
ঘটনায় জড়িত সন্দেহে সুবীর কোলে নামে এক জনকে আটক করেছে পুলিশ। প্রাথমিক তদন্তে জানা গিয়েছে, শাহজাদ নামে এক জনের কাছে কাজ করত সুবীর। কিছু দিন ধরে মালিকের সঙ্গে তার গোলমাল চলছিল। সেই আক্রোশে সে আগুন ধরিয়ে দিয়েছে কি না, তা দেখছেন তদন্তকারীরা।