—প্রতীকী ছবি।
দুর্ঘটনা ঠেকাতে ‘সেফ ড্রাইভ, সেভ লাইফ’ কর্মসূচি চালু করেছে কলকাতা পুলিশ। অনেকটা সেই ধাঁচে এ বার আগুন মোকাবিলায় সাধারণ মানুষকে সচেতন করতে লাগাতার প্রচারে নামছে দমকল। দমকলের ডিভিশনাল অফিসার সমীর চৌধুরী বলেন, ‘‘কী ভাবে প্রচার করা হবে, তা নিয়ে আমরা ইতিমধ্যেই রূপরেখা তৈরি করেছি। শুধুমাত্র কিছু পোস্টার বা ব্যানার লাগিয়ে নয়, স্কুল-কলেজ-অফিসে গিয়েও সচেতনতার পাঠ দেওয়া হবে। তৈরি করা হচ্ছে একটি ক্যালেন্ডারও। আগুন লাগলে কোথায় ফোন করতে হবে, আগুন থেকে বাঁচতে কী কী ব্যবস্থা রাখা উচিত— সেই সংক্রান্ত সতর্কবার্তা তাতে লেখা থাকবে।’’
২০১৬ সালে শুরু হয়েছিল ‘সেফ ড্রাইভ, সেভ লাইফ’ কর্মসূচি। ট্র্যাফিক পুলিশের এক কর্তার দাবি, ‘‘নিরন্তর এই প্রচার চালানোর ফলে দুর্ঘটনার সংখ্যা আগের চেয়ে কমেছে। পাশাপাশি শহরের রাস্তায় গাড়ির গতিবেগও কিছুটা বেড়েছে।’’ দমকলের আধিকারিকেরাও দাবি করছেন, অগ্নিকাণ্ড থেকে মানুষকে সতর্ক করতে তাঁরা মাঝেমধ্যেই নানা কর্মসূচি করে থাকেন। কিন্তু নিরবচ্ছিন্ন প্রচার চালালে মানুষ আরও বেশি সতর্ক হবেন।
সমীরবাবু জানান, বাগড়ি মার্কেটে অগ্নিকাণ্ডের পরে তাঁরা বিভিন্ন বাজার ঘুরে সেখানকার অগ্নি-সুরক্ষা ব্যবস্থা খতিয়ে দেখেছেন। তাঁর কথায়, ‘‘ওই ঘটনার পরেও অনেক বাজার কর্তৃপক্ষ এখনও সচেতন হননি। বাজারগুলিতে অগ্নি-নির্বাপণ যন্ত্র লাগানো থাকলেই হবে না। সেগুলি কী ভাবে চালাতে হয়, সেটাও জানা জরুরি। তার প্রশিক্ষণও দেওয়া হবে।’’
দমকলের আধিকারিকেরা জানিয়েছেন, অনেক সময়ে অনেক ছোট ছোট উৎস যেমন সিগারেট থেকে বা রান্নার গ্যাস ঠিক মতো বন্ধ না করায় আগুন লাগার ঘটনা ঘটে। দৈনন্দিন জীবনে এমন ঘটলে কী ভাবে সচেতন হওয়া উচিত, তা নিয়ে লাগাতার প্রচার লাগানো হবে। কিন্তু প্রশ্ন উঠেছে, সাধারণ মানুষ সচেতন না হলে শুধু প্রচার চালিয়ে কতটা সফল হবে এই কর্মসূচি? দমকলের আধিকারিকদের দাবি, লাগাতার প্রচার মানুষের মধ্যে একটা প্রভাব ফেলে। সে দিকটাই তাঁরা তুলে ধরতে চাইছেন।