চলছে আগুন নেভানো
মহানগরের ‘ফুসফুসে’ আগুন! সঙ্গে ধোঁয়া।
সোমবার সকালে আগুন লাগে ময়দানে জমে থাকা পাতার স্তূপে। আগুনের শিখা এতই বেশি ছিল যে তা ছুঁয়ে ফেলেছিল ট্রামের ওভারহেড তারও। শেষে আগুন নেভাতে যেতে হয় দমকলকে।
কিন্তু আগুন লাগল কী ভাবে? নাকি জঞ্জাল সাফ করতে আগুন লাগানো হয়? সদুত্তর মেলেনি। কিন্তু পরিবেশকর্মীদের অভিযোগ, জমে থাকা পাতা পোড়াতেই আগুন লাগানো হয়। এর অর্থ হাইকোর্টের নির্দেশ অমান্য করা। রাজ্য দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদের প্রাক্তন মুখ্য আইন আধিকারিক বিশ্বজিৎ মুখোপাধ্যায় জানান, পাতা পোড়ানো প্রায় দু’দশক আগে নিষিদ্ধ হয়েছে।
বস্তুত, সোমবারই আনন্দবাজার পত্রিকায় পাতা পোড়ানোর ছবি বেরিয়েছে। সে প্রসঙ্গেই এক পরিবেশকর্মীর প্রশ্ন, ‘‘শুধু ময়দান কেন, নতুন কঠিন বর্জ্য ব্যবস্থাপনা বিধি অনুযায়ী বর্জ্য পোড়ানোই নিষিদ্ধ। এটা হচ্ছে কী ভাবে? ময়দান নিয়ে হাইকোর্টে মামলা করেছিলেন পরিবেশকর্মী সুভাষ দত্ত। বর্তমানে শহরের বায়ু দূষণ নিয়ে জাতীয় পরিবেশ আদালতের পূর্বাঞ্চলীয় বেঞ্চে মামলার শুনানি চলছে। সুভাষবাবু জানান, সেখানেও বিষয়়টি তোলা হবে। দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদের অনেকে বলছেন, ঘটনা প্রমাণিত হলে প্রশাসনকে আদালতে অস্বস্তিতে পড়তে হবে। পরিবেশকর্মীরা জানান, ময়দান সাফাইয়ের দায়িত্ব পুরসভার। আগুন লাগানোর দায় তাদের উপরে বর্তায়। যদিও মেয়র পারিষদ (জঞ্জাল) দেবব্রত মজুমদারের মন্তব্য, ‘‘আমরা আগুন লাগাইনি।’’ তা হলে আগুন লাগাল কে, সেটাই প্রশ্ন।