পুরসভার ভিতরে হঠাৎ আগুন জঞ্জালের স্তূপে

পুরসভার একাধিক কর্মী জানান, সকালে পুরভবনের মূল চাতালে যেখান থেকে ডেথ ও বার্থ সার্টিফিকেট দেওয়া হয়, তার সামনেই আগুন লাগে। আর আগুন নেভাতে গিয়েই সিরিঞ্জ নজর পড়ে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ০৭ এপ্রিল ২০১৮ ০২:৩৩
Share:

অঘটন: চলছে আগুন নেভানোর কাজ। শুক্রবার, পুরসভায়। —নিজস্ব চিত্র

পুরভবনের ভিতরে ডাঁই হয়ে পড়ে থাকে নষ্ট হওয়া কম্পিউটার, সিপিইউ-সহ নানা বৈদ্যুতিন সামগ্রী। সংবাদপত্রে তা নিয়ে খবরও হয়েছে। তবুও হুঁশ ফেরেনি প্রশাসনের। শুক্রবার সকালে ওই জঞ্জালেই হঠাৎ আগুন লেগে উত্তেজনা ছড়ায় পুরভবনে। অফিসের সময়ের আগেই অগ্নিকাণ্ডের ঘটনাটি ঘটায় খুব বেশি আতঙ্ক ছড়ায়নি পুরকর্মীদের মধ্যে। তবে রাতের দিকে এই আগুন লাগলে বড় অঘটন ঘটতে পারত বলে আশঙ্কা পুরমহলের। অনেকেরই বক্তব্য, পুরসভার অনেক দলিল দস্তাবেজ ক্ষতিগ্রস্ত হত সে ক্ষেত্রে। পরকর্মীরাই বলছেন, সকাল বলে যথাসময়ে দমকল বাহিনী এসে ওই আগুন নিভিয়ে দিয়েছে। একটু বেলা হলেই রাস্তার ভিড় ঠেলে তাদের পৌঁছতে সময় লাগত। যদিও আগুন লাগার সঙ্গে আরও একটি প্রসঙ্গ অস্বস্তিতে ফলেছে পুর প্রশাসনকে। তা হল, ওই সব স্তূপীকৃত সামগ্রীর ভিতর থেকে অনেক খালি সিরিঞ্জ পেয়েছেন দমকলের কর্মীরা। পুরভবনের ভিতরে এত সিরিঞ্জ কী ভাবে এল, তা ব্যাখ্যা নেই পুরকর্তাদের কাছেও। বিষয়টি জেনে হতবাক একাধিক মেয়র পারিষদও। কী ভাবে ওই সব সিরিঞ্জ এল, জানতে চান মেয়র পারিষদ অতীন ঘোষও। তিনি বলেন, ‘‘মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিককে খোঁজ নিতে বলেছি। পুরসভার কেয়ারটেকারকেও বলা হয়েছে কে বা কারা সিরিঞ্জ ফেলছে, তার উৎস খুঁজে বার করতে।’’

Advertisement

এ দিকে পুরসভার একাধিক কর্মী জানান, সকালে পুরভবনের মূল চাতালে যেখান থেকে ডেথ ও বার্থ সার্টিফিকেট দেওয়া হয়, তার সামনেই আগুন লাগে। আর আগুন নেভাতে গিয়েই সিরিঞ্জ নজর পড়ে। কারও কারও ধারণা, পুরভবনের বাইরে পাঁচিলের গায়ে রাতের দিকে ইনজেকশেনর সিরিঞ্জে মাদক নিতে দেখা যায় দু’-এক জনকে। তা নিয়ে পুলিশের কাছেও অভিযোগ জানানো হয়েছে। পুরভবনের ভিতরেও সেই কারবার চলতে পারে বলে ধারণা কারও কারও। পুরসভার এক আমলার কথায়, ‘‘আগুন লাগার এই ঘটনা পুরকর্মীদের সচেতনতা নিয়ে প্রশ্ন তুলে দিয়েছে। পুরভবনের ভিতরে এমন স্তূপীকৃত সামগ্রী জমা করলে এ বার থেকে কড়া ব্যবস্থা নিতে হবে।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন