ময়দানের বাজি বাজার কি এ বার বাগবাজারে!

উদ্যোক্তাদের দাবি, অন্য বছরে দেরিতে হলেও এত দিনে বাজি বাজারের অনুমতি চলে আসে। ফলে এই প্রথম বার বিকল্প ব্যবস্থার কথা ভাবতে হচ্ছে উদ্যোক্তাদের।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ২৮ অক্টোবর ২০১৮ ০২:০৩
Share:

—প্রতীকী ছবি

প্রতি বছরের মতোই চলতি বছরেও ময়দানে বাজি বাজার হওয়া নিয়ে অনিশ্চয়তা তৈরি হয়েছে। কারণ, সেখানে এখনও পর্যন্ত সেনাবাহিনীর অনুমতি পাওয়া যায়নি বলেই জানাচ্ছেন বাজি বাজারের উদ্যোক্তারা।

Advertisement

উদ্যোক্তাদের দাবি, অন্য বছরে দেরিতে হলেও এত দিনে বাজি বাজারের অনুমতি চলে আসে। ফলে এই প্রথম বার বিকল্প ব্যবস্থার কথা ভাবতে হচ্ছে উদ্যোক্তাদের। বাজি বাজার যাতে অন্যত্র করা যায়, তাই কলকাতা পুরসভার সঙ্গে প্রাথমিক ভাবে কথাও বলেছেন তাঁরা। শেষ পর্যন্ত ময়দানে অনুমতি না মিললে বাগবাজারের মাঠে বাজি বাজার হতে পারে বলে তাঁরা জানাচ্ছেন।

ময়দানে বাজি বাজারের উদ্যোক্তা সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক চিত্তরঞ্জন মাইতি শনিবার বলেন, ‘‘আমরা গত ৬ সেপ্টেম্বর সেনাবাহিনীর কাছে বাজি বাজারের জন্য আবেদন করেছিলাম। দিল্লি থেকে এই অনুমতি মেলে। কিন্তু সেনাবাহিনীর পূর্বাঞ্চলীয় শাখা থেকে বলা হয়েছে, এ দিনও অনুমতি আসেনি। ফলে এই প্রথম বার আমাদের অন্যত্র বাজি বাজার করার কথা ভাবতে হচ্ছে।’’

Advertisement

প্রসঙ্গত, বর্তমানে ময়দান ছাড়াও টালা পার্ক, বেহালা, ই এম বাইপাস ও যাদবপুর—শহরের এই চারটি জায়গায় বাজি বাজার হয়। কিন্তু ময়দানের বাজি বাজারই সব থেকে পুরনো। সেই ১৯৯৫ সাল থেকে এই বাজারটি ময়দানে বসছে। চিত্তরঞ্জনবাবুর কথায়, ‘‘ময়দানে বাজি বাজারের কথা সকলে জানেন। সেখানেই ক্রেতারা যান। কিন্তু শেষ পর্যন্ত যদি অন্য জায়গায় হয়, তা হলে সেটা অতটা জনপ্রিয় হবে কি না, সে বিষয়ে সংশয় থাকছেই।’’ টালা পার্কের বাজি বাজারের উদ্যোক্তা সঞ্জয় দত্ত বলেন, ‘‘সব ক’টি বাজি বাজারই ৩ থেকে ৭ নভেম্বর পর্যন্ত চলে। কিন্তু এ বার তো ময়দানের বাজি বাজারের এখনও মেলেনি বলে শুনছি।’’

কলকাতা পুরসভা সূত্রের খবর, বাগবাজারের বাজি বাজার করার জন্য প্রাথমিক ভাবে এ দিনই উদ্যোক্তারা এসে কথা বলে গিয়েছেন। সোমবার পরিস্থিতি দেখে আবেদন জানাবেন তাঁরা। এক পদস্থ পুর কর্তার কথায়, ‘‘তবে বাগবাজারে বাজির বাজার বসলে মাঠ ভাড়া বাবদ পুরসভার বাড়তি আয় হবে।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন