কাচ ভাঙা সেই ম্যাটাডর। শুক্রবার, বৌবাজারে।—নিজস্ব চিত্র।
আচমকা বিকট শব্দ। তার পরেই আশপাশের লোকেরা দেখলেন, একটি ম্যাটাডরে ভাঙা কাচের স্তূপে রক্তাক্ত অবস্থায় কাতরাচ্ছেন দুই যুবক। শুক্রবার সকালে এই ঘটনায় উত্তেজনা ছড়ায় বৌবাজার থানার ফিয়ার্স লেনে। পুলিশ জানায়, আহত মহম্মদ গুলাব এবং বাবলু কুমার গাড়ির খালাসি হিসেবে কাজ করেন।
প্রত্যক্ষদর্শী গোপাল চট্টোপাধ্যায় জানান, তাঁর দোকানের সামনেই ওই ম্যাটাডরে বসে কথা বলছিলেন দুই যুবক। সামনেই দাঁড়িয়ে ছিল ডালা খোলা একটি লরি। ভিতরে ঠাসা অগ্নিনির্বাপক যন্ত্রের সিলিন্ডার। হঠাৎই বিকট শব্দে একটি বড় সিলিন্ডার ছিটকে এসে প্রথমে গোপালবাবুর পায়ের কাছে পড়ে। তার পরেই সেটি ম্যাটাডরের সামনের কাচ ভেঙে ঢুকে পিছনের দিকে সজোরে ধাক্কা মেরে ফের বাইরে বেরিয়ে আসে। তার পরেই তুমুল শব্দে রাস্তার উপরে ঘুরতে থাকে। ততক্ষণে ভাঙা কাচের নীচে যন্ত্রণায় আর্তনাদ শুরু করেছেন দুই যুবক।
পুলিশ জানিয়েছে, সিলিন্ডারটি কাচে লাগতেই বিপদ আঁচ করে সামনের দিকে ঝুঁকে যান গুলাব ও বাবলু। মহম্মদ গুলাবের বাঁ হাত ভেঙে গিয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ। কাচের টুকরো লেগেও চোট পেয়েছেন তিনি।
এর পরেই বৌবাজার থানার পুলিশ এসে লরিটিকে থানার সামনে নিয়ে গেলে ফের প্রচণ্ড শব্দ করে ছিটকে আসে আরও একটি সিলিন্ডার। তবে লরির ডালা বন্ধ থাকায় এ বার তা বেরিয়ে আসতে পারেনি। দমকলেও খবর দেওয়া হয়। এক অফিসার বলেন, ‘‘লরিতে মোট ২৮টি কার্বন ডাই অক্সাইডের সিলিন্ডার ছিল, যা অগ্নি নির্বাপক হিসেবে ব্যবহার করা হয়। বাকি সিলিন্ডারগুলি সাবধানে সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়। সিলিন্ডারে ভালভের গোলমাল থেকেই বিপত্তি।’’
সিলিন্ডারের ভালভে গোলমাল হয়ে এর আগেও একাধিক বার গ্যাস লিক করেছে। তবে, এমন গুরুতর ঘটনা আগে কখনও ঘটেছে বলে মনে করতে পারেননি ওই সিলিন্ডার সরবরাহকারী