আবাসনে আগুনে আতঙ্ক, মই দিয়ে উদ্ধার বাসিন্দাদের

নতুন বছরের প্রথম দিন দুপুরে আচমকা কালো ধোঁয়ায় ভরে গেল গোটা আবাসন। তার সঙ্গে বোমা ফাটার মতো শব্দে বিস্ফোরণ। বাসিন্দারা তড়িঘড়ি নীচে নামার চেষ্টা করলেও পারেননি। শেষে পাশের বাড়ির ছাদ থেকে মই লাগিয়ে উদ্ধার করা হল মহিলা ও শিশু-সহ কয়েক জনকে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ০২ জানুয়ারি ২০১৯ ০০:১২
Share:

—প্রতীকী ছবি।

নতুন বছরের প্রথম দিন দুপুরে আচমকা কালো ধোঁয়ায় ভরে গেল গোটা আবাসন। তার সঙ্গে বোমা ফাটার মতো শব্দে বিস্ফোরণ। বাসিন্দারা তড়িঘড়ি নীচে নামার চেষ্টা করলেও পারেননি। শেষে পাশের বাড়ির ছাদ থেকে মই লাগিয়ে উদ্ধার করা হল মহিলা ও শিশু-সহ কয়েক জনকে।

Advertisement

মঙ্গলবার আগুন লেগে এমনই ঘটেছে বালির কান্তি গোস্বামী লেনে। দমকলের একটি ইঞ্জিন ও সিইএসসি-র কর্মীরা এসে পরিস্থিতি সামাল দেন। ঘটনায় কেউ হতাহত না হলেও আবাসনের ছাদ থেকে অন্য বাড়ির ছাদে যাওয়ার সময়ে আতঙ্কে অসুস্থ হয়ে পড়েন এক মহিলা।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রের খবর, কান্তি গোস্বামী লেনের ওই তিনতলা আবাসনের নীচে সিঁড়ির পাশেই মিটার বক্স। এ দিন দুপুর দেড়টা নাগাদ সেখানেই প্রথম আগুন লাগে। মুহূর্তের মধ্যে ধোঁয়ায় ভরে যায় চারদিক। একতলার বাসিন্দা

Advertisement

প্রতিমা মণ্ডল বলেন, ‘‘মিটার বক্স দাউদাউ করে জ্বলছে দেখে চিৎকার করে সকলকে গ্যাস সিলিন্ডার

বন্ধ করতে বলি। মেন সুইচ বন্ধ করে দিই। এত ধোঁয়া বেরোচ্ছিল যে ভয়ে সকলে জানলা-দরজা বন্ধ করে

দেন।’’ ওই আবাসনেরই তিনতলার বাসিন্দা অপূর্বলাল গড়াই জানান, ঘরের আলো জ্বালাতে গিয়ে তিনি দেখেন, আগুনের ফুলকি ছিটকে আসছে। এর পরেই ঘর কালো ধোঁয়ায় ভরে যাওয়ায় তাঁরা এবং আরও কয়েক জন বাসিন্দা ভয়ে ছাদে

উঠে যান।

সে সময়ে পাশেই একটি নির্মীয়মাণ আবাসনে লিফট বসানোর কাজ চলছিল। আগুন লেগেছে

দেখে সেখানকার কর্মীরাই সঙ্গে সঙ্গে মই এবং দড়ি নিয়ে উদ্ধারকাজে ঝাঁপিয়ে পড়েন। কান্তি গোস্বামী লেনের আবাসনটির পাশের বাড়ির ছাদে গিয়ে মই ও দড়ি বেঁধে এক এক করে বাসিন্দাদের নামিয়ে আনেন তাঁরাই। উদ্ধারকাজে হাত লাগান স্থানীয় যুবকেরাও। এলাকার বাসিন্দা ও রাজ্যের ক্ষুদ্র ও কুটির

শিল্প দফতরের এক কর্তা বিভাস

ঘোষ বলেন, ‘‘ঘটনার সময়ে পাশেই ক্লাবে ছিলাম। পরপর বিকট

আওয়াজ করে কিছু ফাটছে শুনে ভেবেছিলাম, গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণ হয়েছে। এক মুহূর্ত অপেক্ষা না করে কিছুটা দূরের দমকল কেন্দ্রে গিয়ে খবর দিই।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন