প্রতীকী ছবি।
কারিগরি সহায়তা দেওয়ার নাম করে বিদেশের গ্রাহকদের আর্থিক প্রতারণার অভিযোগ পেয়েছিল সিআইডি-র সাইবার শাখা। তার ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে গ্রেফতার করা হল নিউ টাউনের একটি তথ্যপ্রযুক্তি সংস্থার পাঁচ কর্মীকে।
গোয়েন্দা সূত্রের খবর, জার্মানির একটি সংস্থার তরফে সম্প্রতি ওই প্রতারণার অভিযোগ দায়ের করা হয়। এর পরেই মঙ্গলবার নিউ টাউনের ওই তথ্যপ্রযুক্তি সংস্থায় হানা দেন তদন্তকারীরা। গ্রেফতার করা হয় রিচা পিপালওয়া, বিক্রমজিৎ পান্ধার, আকাশ সিংহ, নীলেশ রাস্তোগি এবং শুভ্রজিৎ পাল নামে পাঁচ কর্মীকে। ধৃতদের আজ, বুধবার আদালতে তোলা হবে।
সিআইডি সূত্রে খবর, ভারত থেকে কেউ বা কারা বিদেশের গ্রাহকদের ফোন করে কারিগরি সহায়তা দেওয়ার নামে প্রথমে তাঁদের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টের তথ্য সংগ্রহ করেছে। তার পরে টিম ভিউয়ারের মাধ্যমে ওই অ্যাকাউন্ট থেকে টাকা সরানো হয়েছে। তদন্তে নেমে সিআইডি জানতে পারে, একাধিক দেশের গ্রাহকদের ওই কৌশলে ঠকানো হয়েছে।
এ দিন সকালে নিউ টাউনের ওয়েবেল পার্কে যায় সিআইডি-র সাইবার শাখার একটি বিশেষ দল। নেতৃত্বে ছিলেন দুই ইনস্পেক্টর। দিনভর সেখানকার এক তথ্যপ্রযুক্তি সংস্থায় অভিযান চালান তদন্তকারীরা। বাজেয়াপ্ত করা হয় বহু গুরুত্বপূর্ণ নথি। অফিসেই ধৃতদের দফায় দফায় জেরা করেন তদন্তকারীরা। অভিযুক্তদের বয়ানে অসঙ্গতি থাকায় তাঁদের গ্রেফতারের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
এর আগে সল্টলেকের পাঁচ নম্বর সেক্টরেও একই ধরনের ঘটনা ঘটেছিল। তার তদন্তে সল্টলেকে এসেছিল জার্মান পুলিশ। সে বারেও ঘটনার তদন্তভার নিয়েছিল সিআইডি। তবে এই ঘটনায় তারা স্বতঃপ্রণোদিত মামলা রুজু করেছে।
পুলিশ সূত্রের খবর, পাঁচ নম্বর সেক্টরের ওই ঘটনায় গ্রেফতার হয়েছিলেন একটি বিপিও সংস্থার দুই কর্তা-সহ কয়েক জন। তদন্তকারীরা জানান, মঙ্গলবারের ঘটনাটিতে বেশ কিছু জায়গায় ধোঁয়াশা রয়েছে। তবে এখনও পর্যন্ত পাওয়া তথ্যের ভিত্তিতে তাঁদের অনুমান, এ বারের ঘটনাটি অঙ্কের নিরিখে অনেক বড়।
গত কয়েক বছর ধরে গ্রাহকদের তথ্য চুরি করে প্রতারণা বেড়েই চলেছে। তথ্যপ্রযুক্তি কর্মীদের অভিয়োগ, এর ফলে সল্টলেকের তথ্যপ্রযুক্তি শিল্পতালুকের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ণ হচ্ছে। কিন্তু এত কিছুর পরেও যে সাইবার অপরাধ-চক্র ক্রমশ বেপরোয়া হয়ে উঠেছে, মঙ্গলবারের ঘটনাই তার প্রমাণ।