পাখির কারণে স্তব্ধ হয়ে গেল বিমান চলাচল। শুক্রবার, কলকাতা বিমানবন্দরে।
এই ঘটনার প্রায় আধ ঘণ্টা আগে এ দিনই বিমানবন্দরের ট্যাক্সি বে-তে আটকে যায় বিমানের চাকা। বিমানবন্দর সূত্রের খবর, গত কয়েক দিনের বৃষ্টিতে নরম হয়ে এসেছিল ট্যাক্সি বে-র পিচ। তাতেই এই বিপত্তি। মাঝেমধ্যেই বিমানবন্দরের রানওয়ে ও ট্যাক্সি বে-তে গর্ত দেখা দিচ্ছে কেন, প্রশ্ন উঠছে তা নিয়ে। বিমানবন্দরের অধিকর্তা বি পি শর্মা-কে যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলে তিনি ফোন ধরেননি। তবে এই ঘটনার তদন্তে নেমেছে ভারতে বিমান পরিবহণের নিয়ন্ত্রক সংস্থা ডিরেক্টরেট জেনারেল অব সিভিল অ্যাভিয়েশন।
পাখির জন্য এর আগে বিমান জরুরি অবতরণ করেছে। ক্ষতি হয়েছে ইঞ্জিনেরও। শুক্রবারের ঘটনা একেবারেই ভিন্ন। সূত্রের খবর, দুপুরে জেট এয়ারওয়েজের ছোট এটিআর বিমান নিয়ে রানওয়েতে পৌঁছন পাইলট। বিমানটির যোরহাট যাওয়ার কথা ছিল। এয়ার ট্রাফিক কন্ট্রোল (এটিসি)-এর কাছ থেকে উড়ে যাওয়ার সবুজ সঙ্কেত পেয়ে তিনি গতি বাড়াতে গিয়ে দেখেন, সামনের আকাশে এক সঙ্গে অনেকগুলি পাখি উড়ে বেড়াচ্ছে। পাইলট বোঝেন ওই অবস্থায় উড়লে পাখির সঙ্গে ধাক্কা লাগতে পারে। ক্ষতি হতে পারে ইঞ্জিনের। রানওয়ের যেখান থেকে বিমান তার গতি বাড়িয়ে উড়ে যায়, সেখানেই দাঁড়িয়ে থাকেন জেটের পাইলট। খবর দেন এটিসি-কে।
তখন নাগপুর থেকে গো এয়ার-এর একটি বিমান কলকাতায় নামার জন্য চলে এসেছিল বিমানবন্দরের মাথায়। নামতে গিয়ে সেটির পাইলট দেখেন, রানওয়েতে দাঁড়িয়ে রয়েছে অন্য বিমান। এটিসি অফিসারেরা গো এয়ারের বিমানটিকে আকাশে চক্কর কাটার নির্দেশ দেন। এর পরে বিমানবন্দরের কর্মীরা বাজি ফাটিয়ে, আওয়াজ করে পাখি তাড়ান। তখনই কলকাতায় নামার জন্য কাছাকাছি এসেছিল আরও কিছু বিমান। তাদেরও দেরিতে নামার নির্দেশ দেওয়া হয়। পাখির দল বিমানপথ ছাড়লে ওড়ে জেটের বিমান। চক্কর কেটে নেমে আসে গো এয়ার এবং অন্য বিমানগুলি।
এ দিনই সকালে বাগডোগরাগামী গো এয়ারের একটি বিমানের চাকা আটকে যায় ট্যাক্সি বে-তে। পরে গাড়ি দিয়ে বিমানটিকে টেনে ফেরানো হয় পার্কিং বে-তে। বিমানসংস্থা সূত্রে খবর, তাঁদের ইঞ্জিনিয়ারেরা পরীক্ষা করে আবার ওড়ার অনুমতি দিলে কিছু পরে বিমানটি যাত্রীদের নিয়ে উড়ে যায়।