—প্রতীকী ছবি।
পুলিশকে মারধর, যৌন হেনস্থার মতো গুরুতর জামিন-অযোগ্য ধারাতেও জামিন পেলেন চার অভিযুক্ত।
পুলিশ জানিয়েছে, অন্বেষা সান্যাল, ঐন্দ্রিলা দেব, অনুপম সরকার এবং রনি কর্মকার নামে চার অভিযুক্ত রবিবার রাত ৮টা নাগাদ গল্ফগ্রিন সেন্ট্রাল পার্কের কাছে একটি গাড়িতে বসে মদ্যপান করছিলেন। তা নিয়ে আপত্তি করেন স্থানীয় কয়েক জন। সেখান থেকে গোলমালের শুরু। খবর পেয়ে যাদবপুর থানার পুলিশ গেলে তাঁদেরও মারধর করেন অভিযুক্তেরা। উপস্থিত কয়েক জন মহিলাকে যৌন হেনস্থা করা হয় বলেও অভিযোগ। গভীর রাতে জামিন-অযোগ্য ধারায় মামলা রুজু করে পুলিশ চার জনকে গ্রেফতার করে। সোমবার ধৃতদের আলিপুর আদালতে হাজির করা হলে অতিরিক্ত মুখ্য বিচারবিভাগীয় বিচারক অভিজিৎ ঘোষ তাঁদের জামিনে মুক্তি দেন।
অভিযুক্তদের আইনজীবী জয়ন্তনারায়ণ চট্টোপাধ্যায় ও দিব্যেন্দু ভট্টাচার্য এ দিন বলেন, ‘‘এক প্রভাবশালী ব্যক্তির আত্মীয়কে আড়াল করতেই ওই চার জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। ধৃতদের মধ্যে এক মহিলা, একটি বেসরকারি ব্যাঙ্কের ম্যানেজার ও এক তরুণ ফুটবলার রয়েছেন। পুলিশ মিথ্যা অভিযাগ দায়ের করেছে।’’
জামিনের পক্ষে সওয়াল করতে গিয়েও একই যুক্তি দেন জয়ন্তনারায়ণবাবু ও দিব্যেন্দুবাবু। কিন্তু প্রভাবশালীর নাম বলতে চাননি কেউ। পুলিশও প্রসঙ্গটি এড়িয়ে গিয়েছে। পুলিশের তরফে শুধু বলা হয়েছে, একটি গাড়িতে বসে মদ্যপান করা হচ্ছিল। তবে গাড়িটি কার, সে ব্যাপারে তারা মুখ খোলেনি।
স্থানীয় বাসিন্দাদের একাংশের দাবি, ওই গাড়িটি বালির তৃণমূল বিধায়ক বৈশালী ডালমিয়ার। বৈশালীদেবী তা স্বীকারও করেছেন। তবে তিনি বলেন, ‘‘আমার এক আত্মীয়কে নামিয়ে চালক ও দারোয়ান গাড়ি নিয়ে ফিরছিলেন। সে সময়ে রাস্তায় ঝামেলা হচ্ছিল। আচমকা কয়েক জন মদ্যপ গাড়িতে উঠে বসে। চালকের থেকে বিষয়টি জেনে আমি যাদবপুর থানা এবং ওসি-র সঙ্গে যোগাযোগ করি। পুলিশ অভিযুক্তদের গ্রেফতার করে আমার গাড়ি ফিরিয়ে দিয়েছে।’’ বিধায়কের আরও দাবি, সে সময়ে ওই গাড়িতে তিনি বা তাঁর পরিবারের কেউ ছিলেন না।