রাতের শহরে ফের আক্রান্ত পুলিশ। শনিবার ঘটনাটি ঘটেছে পর্ণশ্রী থানা এলাকার গড়াগাছা এলাকায়। পুলিশ জানায়, এই ঘটনায় আহত হয়েছেন দু’জন কনস্টেবল এবং দুই সিভিক ভলান্টিয়ার। তাঁদের উদ্ধারে গিয়ে চার জনকে গ্রেফতার করেছে পর্ণশ্রী থানার পুলিশ। ধৃতদের রবিবার আলিপুর আদালতে তোলা হলে এক দিনের পুলিশ হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছেন বিচারক। পুলিশের তরফে অবশ্য আহত কর্মীদের নাম প্রকাশ করা হয়নি।
পুলিশ জানিয়েছে, ধৃতদের নাম শুভ দত্ত, কুণাল সরকার, সায়ন দত্ত এবং রাজা সিংহ। এঁদের বয়স ২২ থেকে ২৮ বছরের মধ্যে। বাড়ি মহেন্দ্র ব্যানার্জি রোডে। ধৃতদের পরিবারের সঙ্গে কথা বলে বাকি হামলাকারীদেরও খোঁজ পাওয়ার চেষ্টা চলছে।
পুলিশ সূত্রের খবর, রোজের মতো শনিবার রাতে এলাকায় টহল দিচ্ছিলেন পর্ণশ্রী থানার পুলিশকর্মীরা। রাত ৩টে নাগাদ গড়াগাছা এলাকায় একটি মাঠের কাছে পৌঁছে তাঁরা দেখেন, মোটরবাইক নিয়ে গোল হয়ে দাঁড়িয়ে রয়েছেন বেশ কয়েক জন। উত্তেজিত ভাবে কথা কাটাকাটি চলছে। এক পুলিশকর্মী ওই মোটরবাইক বাহিনীর সঙ্গে কথা বলতে গেলে তাঁকে ধাক্কা মারা হয় বলে অভিযোগ। এর পরে বাকি পুলিশকর্মীদের সঙ্গেও তাঁদের হাতাহাতি শুরু হয়। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যায় পর্ণশ্রী থানার পুলিশ বাহিনী। পর্ণশ্রী থানার এক দায়িত্বপ্রাপ্ত আধিকারিক বললেন, ‘‘ধৃতেরা মত্ত অবস্থায় ছিল। থানা থেকে আমাদের বড় দল যেতেই বাইক নিয়ে পালানোর চেষ্টা করে। চার জনকে ধরে ফেলি আমরা। এত রাতে কেন রাস্তায় দাঁড়িয়ে, তা জানতে চাওয়াতেই আমাদের কর্মীদের উপরে হামলা চালানো হয়েছে।’’
গত অক্টোবরের শুরুতেই ঢাকুরিয়ার বিনোদিনী গার্লস হাইস্কুল চত্বরে আক্রান্ত হয় পুলিশ। এক ছাত্রীর যৌন হেনস্থার অভিযোগ ঘিরে রণক্ষেত্রের চেহারা নেয় স্কুল চত্বর। পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে যায়। কিন্তু পরিস্থিতি যে হাতের বাইরে যেতে পারে তা আন্দাজ কী ভাবে করা গেল, এমন প্রশ্ন তুলে পুলিশকে আক্রমণ করা হয় বলে অভিযোগ। পুলিশকে মারার অভিযোগে বেশ কয়েক জন অভিভাবককে গ্রেফতার করা হলেও তাঁরা এক দিনের মধ্যেই জামিন পেয়ে যান। আবার গত অক্টোবর মাসে দুর্গোৎসবের মধ্যে জোরে মাইক বাজানোর প্রতিবাদ করে পুলিশের হাতে আক্রান্ত হয়েছিলেন খোদ পুলিশকর্মীই। আইন রক্ষকদের একের পরে এক আক্রান্ত হওয়ার ঘটনা সম্পর্কে জানতে চাওয়া হলে লালবাজারের এক কর্তা বলেন, ‘‘পুলিশের উপরে হামলা কোনও ভাবেই বরদাস্ত করা হবে না। যথাযত আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।’’