বেলাঘাটায় বিক্রয়কর ভবনে দ্বিতীয় বিল্ডিংয়ের লিফট ছিঁড়ে পড়ল।
লিফট ছিঁড়ে পড়ে জখম হলেন বিক্রয়কর বিভাগের চার আধিকারিক।বৃহস্পতিবার সকালে বেলেঘাটা বিক্রয়কর অফিসের দ্বিতীয় বিল্ডিংয়ের লিফট দোতলা থেকে ছিঁড়ে পড়ে। সেই সময়ে লিফটে ছিলেন ওই বিভাগের ডেপুটি কমিশনার তাপস সরকার এবং অ্যাসিস্ট্যান্ট কমিশনার মানু দাস, দেবাশিস দত্ত ও সুব্রত রায়চৌধুরী। চারজনকেই গুরুতর জখম অবস্থায় নীলরতন সরকার হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানেই এখন চিকিৎসাধীন রয়েছেন তাঁরা।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, সকাল ১০টা ২৫ মিনিট নাগাদ বেলেঘাটা সেলস ট্যাক্স অফিসের দ্বিতীয় বিল্ডিংয়ে লিফটে ওঠেন ওই চার অ্যাসিস্ট্যান্ট কমিশনার। লিফটটি দোতলা পর্যন্ত গিয়ে আটকে যায় এবং তারপরেই নীচে ছিঁড়ে পড়ে। লিফট রক্ষণাবেক্ষণের সঙ্গে যুক্ত কর্মীরা বিশেষ চাবি এনে লিফট খুলে ওই চার আধিকারিককে উদ্ধার করেন এবং তাঁদের হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার বন্দোবস্ত করা হয়।
আরও পড়ুন:ডাক্তারিতে ভর্তির টোপ দিয়ে প্রতারণা
আরও পড়ুন: প্রভাব খাটানোর অভিযোগ মেয়রকে
এই ঘটনার পরেই ক্ষোভে ফেটে পড়েন ওই বিল্ডিংয়ে কর্মরত সরকারি কর্মচারীরা। তাঁদের অভিযোগ, এই বিল্ডিং এবং তার লিফটগুলির অবস্থা খুবই খারাপ। দীর্ঘদিন ধরে লিফটগুলি মেরামত করা হয় না। লিফট আটকে যাওয়া এখানে নিত্যনৈমিত্তিক ঘটনা। বারবার এই বিষয়ে অভিযোগ জানানো হলেও টনক নড়েনি উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের।
বিক্রয়কর বিভাগের বিল্ডিংগুলির রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্ব স্পেশাল কমিশনার সুব্রত চৌধুরীর। এ দিনের ঘটনার পরেই তিনি বিল্ডিংয়ে ঢোকেন। তাঁকে ঘিরেও একপ্রস্থ বিক্ষোভ দেখান কর্মীরা। পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
তদন্তকারী পুলিশকর্তারা প্রাথমিক ভাবে জানাচ্ছেন, লিফট ছিঁড়ে পড়ার কারণ এখনও স্পষ্ট নয়। এটি একটি স্বয়ংক্রিয় লিফট। প্রয়োজনে ফরেন্সিক বিশেষজ্ঞদের সাহায্য নেওয়া হবে। তদন্তকারীদের দাবি, আরও উঁচু থেকে লিফটটি পড়লে এই দুর্ঘটনা প্রাণঘাতী হতে পারত।