আলিপুর জেল থেকে পালানো আসামি ধরা পড়ল বাসন্তীতে

দু’মাস আগে আলিপুরের কেন্দ্রীয় সংশোধনাগার থেকে পালানো এক আসামিকে শুক্রবার রাতে বাসন্তীর কাঁঠালবেড়িয়ার খেড়িয়াপোলে তার বাড়ি থেকেই গ্রেফতার করল পুলিশ। ধৃতের নাম কুতুবুদ্দিন লস্কর। চলতি বছরের গোড়ায় সুন্দরবনে পর্যটকদের লঞ্চে ডাকাতি এবং এক ব্যবসায়ীকে খুনের ঘটনায় সে মূল অভিযুক্ত। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, শুক্রবার কুতুবুদ্দিন নিজের বাড়িতে টাকা নিতে এসেছিল। রাতটুকু কাটিয়ে ফের পালানোর মতলব ছিল। কিন্তু শেষ রক্ষা হল না।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ১২ অক্টোবর ২০১৪ ০১:৩৯
Share:

কুতুবুদ্দিন লস্কর। আলিপুর আদালত চত্বরে তোলা নিজস্ব চিত্র।

দু’মাস আগে আলিপুরের কেন্দ্রীয় সংশোধনাগার থেকে পালানো এক আসামিকে শুক্রবার রাতে বাসন্তীর কাঁঠালবেড়িয়ার খেড়িয়াপোলে তার বাড়ি থেকেই গ্রেফতার করল পুলিশ। ধৃতের নাম কুতুবুদ্দিন লস্কর। চলতি বছরের গোড়ায় সুন্দরবনে পর্যটকদের লঞ্চে ডাকাতি এবং এক ব্যবসায়ীকে খুনের ঘটনায় সে মূল অভিযুক্ত।

Advertisement

পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, শুক্রবার কুতুবুদ্দিন নিজের বাড়িতে টাকা নিতে এসেছিল। রাতটুকু কাটিয়ে ফের পালানোর মতলব ছিল। কিন্তু শেষ রক্ষা হল না। পুলিশের দাবি, জেরায় কুতুবুদ্দিন জানিয়েছে, জেল থেকে পালিয়ে সে প্রথমে ক্যানিংয়ের বেতবেড়িয়ায় যায়। তারপর দিঘা। সেখান থেকে বনগাঁ দিয়ে বাংলাদেশ পালানোর মতলব ছিল তার। সীমান্ত বিএসএফের নজরদারি এড়িয়ে সে যেতে পারেনি। জেল থেকে পালানোর পরই পুলিশ কুতুবুদ্দিনের বাড়ির উপরে নজর রেখেছিল। শুক্রবার বাসন্তী থানা ও কলকাতা পুলিশ যৌথ অভিযান চালিয়ে তাকে ধরে।

গত ২১ ফেব্রুয়ারি সুন্দরবনের কুলতলিতে ঝড়খালি মোহনার কাছে পর্যটকদের লঞ্চে এবং তার দু’দিন পরে বাসন্তীর গৌরদাস পাড়ায় একটি ইমারতি সরঞ্জামের দোকানে ডাকাতি হয়। সেখানে গুলি চালিয়ে অসিত মান্না ওই দোকানের মালিককে খুন করা হয়। গুলিতে আহত হন ৫ জন। সেই দু’টি ঘটনার মূল অভিযুক্ত ছিল কুতুবুদ্দিন। গত ২১ মার্চ উত্তরপ্রদেশের সাহারানপুর থেকে ধরা পড়ে কুতুবুদ্দিন। কম্বলকে দড়ির মতো করে পাকিয়ে লোহার আংটা লাগিয়ে গত ৮ অগস্ট আলিপুরের কেন্দ্রীয় সংশোধনাগার থেকে আজিম মিস্ত্রি এবং শামিম হাওলাদার নামে দুই আসামির সঙ্গে পাঁচিল টপকে পালায় কুতুবুদ্দিন। পরের দিনই বারুইপুরের খোদার বাজার এলাকার একটি গাঁজার ঠেক থেকে আজিমকে পুলিশ ধরে। গত ১৮ অগস্ট ভাঙড়ের তালদিঘি এলাকায় এক বন্ধুর বাড়ি থেকে ধরা পড়ে শামিম।

Advertisement
(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন