আঁতুড়ঘর: এত প্রচারের পরেও পরিচ্ছন্নতা সেই তিমিরেই। বৃহস্পতিবার, সল্টলেকের এফডি ব্লকে। নিজস্ব চিত্র
মশাবাহিত রোগের কবলে বিধাননগর পুর এলাকায় ইতিমধ্যেই প্রাণ গিয়েছে ন’জনের। তবুও যে টনক নড়েনি পুর কর্তৃপক্ষের, একটি ওয়ার্ডের ছবি থেকেই তা স্পষ্ট। অথচ বর্জ্য অপসারণ থেকে ঝোপ-জঙ্গল সাফাই, মশাবাহিত রোগ নিয়ন্ত্রণে প্রতি ওয়ার্ডে বিশেষ গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে বলে দাবি পুর কর্তৃপক্ষের।
সাফাইয়ের কাজে পুরসভার শিথিলতার প্রমাণ মিলেছে এফসি, এফডি, জিসি ব্লক-সহ ৩৩ নম্বর ওয়ার্ডের বিভিন্ন জায়গা ঘুরে। ব্লকগুলিতে জমে আবর্জনা, গজিয়ে উঠেছে ঝোপ-জঙ্গলে। এমনকী ফাঁকা জমিতে পড়ে রয়েছে বর্জ্য। আবর্জনার তালিকায় রয়েছে ভাঙা কমো়ড, থার্মোকলের প্লেট। তাতেই জমে জল। পুর এলাকার অন্য ওয়ার্ডগুলির মতো এখানেও জ্বর হচ্ছে ঘরে ঘরে।
এফডি ব্লকের বাসিন্দাদের একাংশের অভিযোগ, বারবার স্থানীয় কাউন্সিলরকে বলেও কাজ হয়নি। শেষে পুর কর্তৃপক্ষের কাছে অভিযোগ জানাতে হয়েছে। ইতিমধ্যেই এলাকা সাফাই শুরু করেছে পুরসভা।
এমন পরিস্থিতি কী ভাবে হচ্ছে? যেখানে প্রতি ওয়ার্ডে সাফাইয়ের জন্য ২০-৩০ জন পুরকর্মীকে নিযুক্ত করা হয়েছে। মেয়র পারিষদ (জঞ্জাল অপসারণ) দেবাশিস জানা বলেন, ‘‘বাসিন্দাদের থেকে অভিযোগ পেয়ে কাজ শুরু হয়েছে। দু’ দিনের মধ্যে সাফাই হয়ে যাবে। কেন ওই ওয়ার্ডে কাজ হয়নি, তা দেখা হবে।’’
যদিও ৩৩ নম্বর ওয়ার্ডের জঞ্জাল সাফাই নিয়ে এর আগেও বাসিন্দাদের অভিযোগ ছিল। বিধাননগর পুরসভা ওই ওয়ার্ডে কেন্দ্রীয় ভাবে সাফাইয়ের কাজও শুরু করেছিল। সাফাই নিয়ে কোনও অভিযোগ মানতে নারাজ ৩৩
নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর নীলাঞ্জনা মান্না। তাঁর দাবি, ‘‘কাজ না-করার অভিযোগ ভুল। তবে অনূর্ধ্ব ১৭ বিশ্বকাপের জন্য ব্লকের বাইরে ব্রডওয়ের দিকে নজর দিতে হয়েছে। সাফাই যন্ত্রেও কিছু সমস্যা ছিল।’’
যদিও বিধাননগর পুরসভার এই ওয়ার্ড ছাড়াও মশার দাপট বেড়েছে অন্য ওয়ার্ডেও। সল্টলেকের দু’ দিকের খালপাড় এলাকা, কেষ্টপুর, বাগুইআটি, রাজারহাট-গোপালপুরের বিভিন্ন জায়গা থেকে জ্বরের খবর মিলছে। বুধবার সকালেই বিধাননগর পুর এলাকার আট নম্বর ওয়ার্ডে জ্বরে মৃত্যু হয়েছে এক বৃদ্ধের।