নীল-সাদার বদলে রবীন্দ্র সরোবরে এ বার সবুজ-হলুদ বেড়া

বাম আমল বদল হওয়ার পরে স্থাপত্য থেকে রাস্তার পেভার ব্লক, বাতিস্তম্ভ থেকে ভূগর্ভস্থ পথের গেট— সবেতেই নীল-সাদা রং চড়িয়েছিল তৃণমূল সরকার। প্রশাসনিক মহলের বক্তব্য, ওই রং মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রিয়।

Advertisement

কৌশিক ঘোষ

কলকাতা শেষ আপডেট: ২৪ জুন ২০১৯ ০২:০৪
Share:

নবরূপে: সবুজ-হলুদ বেড়ায় সেজেছে রবীন্দ্র সরোবরের বাগান। নিজস্ব চিত্র

রং বদল রবীন্দ্র সরোবরে। নীল-সাদার পরিবর্তে সেখানে বাগান ঘিরতে দেওয়া হল সবুজ–হলুদ রঙের বেড়া। রং বদলের কি অন্য কোনও কারণ আছে? কর্তৃপক্ষ অবশ্য জানাচ্ছেন, পুরোটাই করা হয়েছে পথ চলতি মানুষের সুবিধা, অসুবিধার কথা মাথায় রেখে।

Advertisement

বাম আমল বদল হওয়ার পরে স্থাপত্য থেকে রাস্তার পেভার ব্লক, বাতিস্তম্ভ থেকে ভূগর্ভস্থ পথের গেট— সবেতেই নীল-সাদা রং চড়িয়েছিল তৃণমূল সরকার। প্রশাসনিক মহলের বক্তব্য, ওই রং মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রিয়। গত লোকসভা নির্বাচনের পরে রং নির্বাচনেও কি সতর্ক হয়েছেন সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ?

কেএমডিএ কর্তৃপক্ষের দাবি, সরোবর চত্বরের ধারে যে বাগান তৈরি করা হচ্ছে তা ঘিরতেই বাঁশের বেড়ার প্রয়োজন। কিন্তু বাঁশের বেড়াকে টেকসই করতেই সেখানে রং দেওয়া হচ্ছে।

Advertisement

প্রশ্ন ওঠে, সরোবর চত্বরে সব জায়গায় সরকারি নীতি মনে যেখানে নীল-সাদা রং দেওয়া হচ্ছে, সেখানে হঠাৎ করেই এই ধরনের রং কি বেমানান নয়?

কর্তৃপক্ষের যুক্তি অবশ্য অন্য রকম। তাঁদের কথায়, সবুজ রং কচি পাতার প্রতীক। অন্য দিকে, যে সমস্ত গাছের পাতা নষ্ট হয়ে যায় তার রঙ হলুদ। সেই কারণেই বেড়াতে এই দু’টি রং লাগানোর উপরে গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে।

একই ভাবে, অন্ধকারে হলুদ রং জ্বলজ্বল করে। সরোবর চত্বরের ভিতরের রাস্তায় অন্ধকার হয়ে গেলে যাতে বাগান চিনতে অসুবিধা না হয়, সেই কারণেই এই ধরনের রঙের কথা ভাবা হয়েছে। সরকারি ভাবে তা গৃহীতও হয়েছে বলেও তাঁরা জানিয়েছেন।

কিছু দিন আগেই সরোবরে প্রচুর আলো থাকায় পাখিদের অসুবিধা হচ্ছে বলে পরিবেশকর্মীরা অভিযোগ এনেছিলেন। তার পরেই সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ আলো কমানোর সিদ্ধান্ত নেন। আলো কম থাকায় অনেক সময়ে সন্ধ্যায় আলো-আঁধারিতে ভ্রমণকারীদের হাঁটতে অসুবিধা হয় বলে অনেকেই কর্তৃপক্ষকে অভিযোগ জানিয়েছেন। তাঁদের সুবিধার কথা ভেবেই কেএমডিএর এই উদ্যোগ।

কেএমডিএ সূত্রের খবর, সরোবরে আজ পর্যন্ত যে সমস্ত বিভিন্ন প্রকল্প নেওয়া হয়েছে সেখানে নীল-সাদা রং ব্যবহার করা হয়েছে। সরোবর চত্বরের অন্যান্য ফাঁকা জায়গা, যা উদ্যান হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে সেগুলি ঘিরতে যে জাল দেওয়া হয়েছে সেখানেও নীল-সাদা রং রয়েছে। কর্তৃপক্ষের দাবি, ‘জগিং ট্র্যাক’থেকে ওই উদ্যানগুলি কিছুটা দূরে থাকায় ভ্রমণকারীদের অসুবিধা হবে না। সেই কারণে সেখানে রীতি মেনেই ‘সরকার স্বীকৃত’ নীল-সাদা রংকেই তাঁরা বেছে নিয়েছেন।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন