তখন রাত একটা বা সওয়া একটা হবে। সেই সময়ে আচমকাই চিৎকার-চেঁচামেচি শুনতে পাই। লোকজন ‘আগুন’, ‘আগুন’ বলে চিৎকার করতে থাকেন। বুঝতে পারি, নীচে কোথাও আগুন লেগেছে। সেই সময়ে আমরা ছাদের দিকে ছুটে যাই। বুঝতে পারি, আগুন দ্রুত বড় আকার নিচ্ছে। ওই অবস্থায় পড়িমড়ি করে ছাদ থেকে সোজা নীচে নেমে আসি। দেখি, চারপাশে আগুন ছড়াতে শুরু করেছে। যখন নীচে নামলাম, ততক্ষণে আগুন নেভানোর জন্য দমকলের ইঞ্জিন, কর্মীরা পৌঁছে গেছেন। তার পর থেকে সারা রাত রাস্তাতেই ছিলাম আমরা। তার পরে সকালে আমি স্টুডিয়োতে চলে আসি। সৌভাগ্য যে রাতে গড়িয়াহাটের বহুতলে আমার মা ছিলেন না। আমার স্টুডিয়োতে মা ছিলেন। আমি আবার রবিবার সকাল দশটা নাগাদ গড়িয়াহাটে যাই। আমি থাকি বহুতলের পাঁচতলায়। আমাদের দিকে দোতলা পর্যন্ত আগুনে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। আর পোশাক বিপণির উপরে তিনতলা পর্যন্ত আগুন ছড়িয়েছিল। প্লাস্টিকের জন্যই আগুন দ্রুত ছড়িয়েছিল। দমকল যথাসাধ্য চেষ্টা করেছে।