রাত তখন সাড়ে ১১টা। মাঝরাস্তা দিয়ে উর্ধ্বশ্বাসে দৌড়চ্ছে এক ব্যক্তি। পিছনে ছুরি হাতে দৌড়চ্ছেন আরও এক জন। কিছু দূর গিয়েই পিছন থেকে ঝাঁপিয়ে পড়ে এলোপাথাড়ি ছুরি চালাতে থাকে ওই ব্যক্তি। রক্তাক্ত অবস্থায় লুটিয়ে পড়েন অন্য জন।
শনিবার নারকেলডাঙা থানার ক্যানাল ওয়েস্ট রোডের ওই ঘটনায় তখনই আহত ব্যক্তিকে হাসপাতালে নিয়ে যান এক প্রত্যক্ষদর্শী। সেখানেই রবিবার সকালে মৃত্যু হয় সুবোধকুমার কুশওয়াহা (৪০) নামে বিহারের ছাপরার বাসিন্দা ওই ব্যক্তির।
লালবাজার সূত্রে খবর, কলকাতায় গাড়ি সারানোর কাজ করতেন সুবোধ। শনিবার ম্যাটাডর চালক কৃষ্ণ রাউত ওরফে যাদবের সঙ্গে গাড়ির ব্যবসা নিয়ে নারকেলডাঙার একটি গ্যারাজে তাঁর কথা কাটাকাটি ও পরে হাতাহাতি হয়। আচমকাই ছুরি নিয়ে সুবোধকে মারতে যায় কৃষ্ণ। সুবোধ দৌড়ে পালাতে যান। কিন্তু খানিক যাওয়ার পরেই তাঁর বুকের বাঁ দিকে ছুরি মেরে পালায় কৃষ্ণ।
ওই প্রত্যক্ষদর্শী রামানন্দ শাহ জানান, হঠাৎ এই ঘটনা দেখে হতভম্ব হয়ে যান তিনি। এর পরে তিনি সুবোধকে হাসপাতালে ভর্তি করেন। রবিবারই রামানন্দবাবুর অভিযোগের ভিত্তিতে নারকেলডাঙা থানায় খুনের অভিযোগ দায়ের করে পুলিশ। অভিযুক্ত কৃষ্ণ আদতে উত্তরপ্রদেশের বালিয়ার বাসিন্দা। তার খোঁজে ইতিমধ্যেই লালবাজারের হোমিসাইড শাখার একটি দল সেখানে রওনা দিয়েছে।