ওড়ার পরে ১৭ মিনিটের মধ্যে ফিরে এল বিমান। সমস্ত ধরনের আপৎকালীন ব্যবস্থাকে সামনে রেখে রানওয়ের মাটি ছুঁল। বিমানবন্দর সূত্রে খবর, বৃহস্পতিবার সকালের ওই ঘটনায় ক্ষতি হয়েছে বিমানটির।
কলকাতা বিমানবন্দর সূত্রের খবর, এ দিন সকালে ১৬৭ জন যাত্রী নিয়ে গো এয়ারের এয়ারবাস ৩২০ বিমানটি কলকাতা থেকে পোর্ট ব্লেয়ার যাবে বলে সকাল ৮টা ৪০ মিনিটে উড়ে যায়। কিন্তু, ৬ মিনিটের মধ্যে পাইলট যোগাযোগ করেন কলকাতার এয়ার ট্র্যাফিক কন্ট্রোলের (এটিসি) সঙ্গে। বলা হয় ইঞ্জিনে গণ্ডগোল দেখা দিয়েছে। বিমানসংস্থার অফিসারদের আশঙ্কা, বিমানটি কলকাতা থেকে ওড়ার পরেই পাখির সঙ্গে ধাক্কা লাগে। ক্ষতি হয় ইঞ্জিনের।
ওই অবস্থায় পাইলট ফিরে আসতে চান। বিমানবন্দরে জরুরি অবস্থা ঘোষণা করা হয়। ৮টা ৫৭ মিনিটে বিমানটি নির্বিঘ্নে নেমে আসে। যাত্রীদের নামিয়ে বিমানটিকে এয়ার ইন্ডিয়ার হ্যাঙারে নিয়ে গিয়ে সারানো শুরু হয়। উড়ানটি বাতিল করে দেয় গো এয়ার। এ নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেন যাত্রীরা। গো এয়ারের চেক-ইন কাউন্টারের সামনে বাগডোগরার যাত্রীদের বোর্ডিং কার্ড দেওয়া যাবে না বলেও দাবি জানান তাঁরা। পরে সিআইএসএফ পরিস্থিতি সামলায়। কিছু যাত্রী পোর্ট ব্লেয়ারের উড়ান ধরতে দিল্লি-চেন্নাই উড়ে যান। অনেককে হোটেলে রাখা হয়।
এ দিন সকাল থেকে পোর্ট ব্লেয়ারের আকাশও পরিষ্কার ছিল না। সেখানেও সকাল থেকেই ঝড়-বৃষ্টি শুরু হয়। কলকাতা থেকে যাত্রীদের নিয়ে সকাল ৮টায় ছেড়েছিল ইন্ডিগোর বিমান। কিন্তু, মাঝপথেই পাইলট খারাপ আবহাওয়ার খবর পেয়ে কলকাতায় ফিরে আসেন সকাল ১০টা ৫ মিনিটে। এয়ার ইন্ডিয়ার বিমানও সকাল ৮টা ৩ মিনিটে ছেড়ে একই কারণে ফিরে আসে ৯টা ৫১ মিনিটে। পোর্ট ব্লেয়ারের আকাশ একটু পরিষ্কার হওয়ার খবর পেয়ে সকাল সাড়ে দশটা নাগাদ পরপর এই দু’টি বিমান ফের উড়ে যায়।